
বিয়ের মাধ্যমেই একজন আরেকজনের খুব কাছে আসে। সারা জীবন সুখে কাটানোর স্বপ্ন দেখে। এক কথায়, একসঙ্গে বাকিটা পথ চলার প্রতিজ্ঞা নিয়েই এই সম্পর্কের শুরু হয়।
তবে নিজের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থাকাটা একটু কঠিনই। তবুও মানিয়ে নিতে হয়। বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের মানিয়ে চলার দিকগুলো একটু বেশি থাকে। কারণ নতুন পরিবারের সদস্য হতে নিজের সব প্রিয়জন ছেড়ে যেতে হয়। তাই বিয়ের আগে সব মেয়েরই তার হবু স্বামীর সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই বিষয়গুলো-
তার জীবনের লক্ষ্য কী?
সব মানুষেরই জীবনের কোনো না কোনো লক্ষ্য থাকে। কেউ ভীষণ কেয়ারিং হন, কেউবা স্বাধীনচেতা। তাই আপনার হবু স্বামীর ছোট-বড় সব ধরনের লক্ষ্য সম্পর্কে জেনে নিন। বিয়ের পরে সংসারের কারণে আপনার ক্যারিয়ারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ভয় আছে কি না তা বুঝে নিন। তাতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।
আর্থিক অবস্থা
এই বিষয়টি এড়িয়ে যান অনেকেই। যা ঠিক নয়। কারণ সংসারে অর্থের বিষয়টি ভালোবাসার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই হবু স্বামীর সঙ্গে তার আর্থিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে নিন। তার কোনো ধার-দেনা আছে কিনা, সেটাও জেনে নিন। তার খরচ করার অভ্যাস সম্পর্কে ধারণা নিন। সংসারের খরচ কাকে কতটা বহন করতে হবে সে বিষয়ে আগেই আলোচনা করে নিন। তাতে সংসারের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে দু’জনেরই একটা স্পষ্ট ধারণা থাকবে।
পরস্পরের দায়-দায়িত্ব
বিয়ে মানে শুধু দুজনের সম্পর্ক নয়। দুটি পরিবারেরও সম্পর্ক। দুটি পরিবারে মা-বাবা, ভাই-বোন সহ আরো অনেক রকম সম্পর্কের মানুষ থাকেন। তাদের প্রতি অনেক রকম দায়িত্বও থাকে। বিয়ের আগেই পরস্পর সেই দায়িত্ব সম্পর্কে জেনে নিন। তাতে পরবর্তী জীবন সহজ হবে।
সন্তান সংক্রান্ত পরিকল্পনা
বিয়ের পরে সন্তানের জন্মদানের সময় নিয়ে অনেক দম্পতির ভেতরেই মতের অমিল হয়। কেউ চান তাড়াতাড়ি সন্তান জন্ম নিক, কেউ চান আরেকটু গুছিয়ে নিতে। তাই আগে থেকে এ ব্যাপারে তার মত জেনে নিন, নিজের মতও জানিয়ে দিন।
প্রত্যাশার মিল-অমিল
ধর্মীয় বিশ্বাস কিংবা রাজনৈতিক মতাদর্শ-পরস্পরের মিল নাও থাকতে পারে। তাই সে সম্পর্কে আগেই খোলামেলা আলোচনা করুন। আবার আপনাদের পরস্পরের প্রতি যে প্রত্যাশা সেগুলো কতটুকু যুক্তিযুক্ত তাও ভেবে দেখুন।