আবারো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের শপথের মাত্র তিনদিন আগে শনিবার সকালে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দেশটি। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
এদিকে দায়িত্ব নেয়ার আগেই অবশ্য উত্তরের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ইউন সুক-ইওল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে কিম জং উনের শক্তি প্রদর্শনের এই পরীক্ষা দক্ষিণের ওপর অনেকটাই চাপ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূলীয় সমুদ্রে একটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সিনপোর আশপাশের এলাকা থেকে বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টার দিকে নিক্ষিপ্ত মিসাইলটিকে সাবমেরিন-লঞ্চড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স বলছে, জাপান সাগরের তীরবর্তী উত্তর কোরিয়ার উপকূলীয় সিনপো শহরে দেশটির কর্তৃপক্ষ সাবমেরিনের পাশাপাশি এসএলবিএম পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সামরিক সরঞ্জাম সংরক্ষণ করে থাকে।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি শনাক্ত করেছে জাপানও। শনিবার টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, উৎক্ষেপণ করা যন্ত্রটি একটি ব্যলিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হতে পারে। এছাড়া জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেশটির কোস্ট গার্ড জানায়, বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি মাটিতে নেমে আসে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের এক্সক্লুসিভ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে পড়েছে।
এর আগে গত বুধবার নিজেদের পূর্ব উপকূলীয় সমুদ্রে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। অবশ্য ক্ষেপণাস্ত্রটির উড্ডয়ন পরিসীমা ও উচ্চতা-সহ অন্যান্য বিবরণ সেসময় পাওয়া যায়নি।
উত্তর কোরিয়ার মতো অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশ কীভাবে একের পর এক এমন পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে বহু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যদিও একের পর এক পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ।