
সরকারি হাসপাতালে নার্স পদে চাকরি পেয়েছে স্ত্রী, তাই চলে যেতে পারে অন্যের হাত ধরে। এমন আশঙ্কায় স্ত্রীর হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে! গত শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার পূর্ব কেতুগ্রাম এলাকায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় রেণু খাতুন (২৫) বর্তমানে দুর্গাপুরের আই কিউ সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এ ঘটনার পর থেকে রেণু খাতুনের স্বামী শরিফুল শেখ, তার দুই বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা পলাতক আছে। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
জানা যায়, রেণু খাতুনের সঙ্গে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে দুই পরিবারের সম্মতিতে শরিফুল শেখের বিয়ে হয়। সরকারি চাকরি পাওয়ার আগে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কাজ করতেন রেণু।
রেণুর বাবা আজিজুল হক বলেন, ‘মেয়ে আমাদের বলেছিল ওকে চাকরি করতে দেবে না জামাই। এমনকী মেয়ের উপর চাপ দিচ্ছিল শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মেয়ে সরকারি চাকরির সুযোগ ছাড়তে চায়নি। কিন্তু ওরা এমন করবে ভাবিনি।’
‘ঘটনার দিন জামাই শরিফুল শেখ দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রেনুর উপর চড়াও হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়,’ যোগ করেন রেনুর বাবা।
আজিজুল হকের অভিযোগ, ঘুমন্ত অবস্থায় রেণুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান হাতের কব্জির নিচ থেকে কেটে দেয় শরিফুল। পরে রেণুর চিৎকারে প্রতিবেশীদের ঘুম ভাঙে। রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এমন ঘটনার জেরে সরকারি নার্সিং চাকরির প্যানেলভুক্ত হয়েও কেতুগ্রামের চিনিসপুর গ্রামের রেণু খাতুনের নার্সের চাকরি করা এখন অনিশ্চিত।