“সেনাবাহিনীতে ট্রান্সজেন্ডার নিয়োগ বন্ধ”- বড় ঘোষণা করলো মার্কিন সেনা

মার্কিন সেনাবাহিনীতে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবগঠিত ট্রাম্প প্রশাসন। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেন, যার ফলে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের সেনায় যোগদানে সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হল।

সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত

সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা আর মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন না। পাশাপাশি, সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রক্রিয়াও অনুমোদিত হবে না।’

ট্রাম্প জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর কঠোর মানদণ্ডের সঙ্গে অসামঞ্জস্যতা থাকলে তা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, একজনের ‘লিঙ্গ পরিচয়’ যদি তার জৈবিক লিঙ্গের সঙ্গে না মেলে, তাহলে তা সামরিক বাহিনীর গঠন ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী হতে পারে।

চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত

সেনাবাহিনীর ঘোষণায় বলা হয়েছে, ‘যারা লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য চিকিৎসার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের সমস্ত নির্ধারিত বা পরিকল্পিত চিকিৎসা আপাতত স্থগিত রাখা হবে।’ ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, সেনাবাহিনীর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নিরঙ্কুশ ও কার্যকরী বিজয় অর্জন। ট্রান্সজেন্ডারদের অন্তর্ভুক্তির ফলে চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি ও অপারেশনাল সমস্যার সৃষ্টি হয় বলে তারা মনে করছে।

পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত ও বর্তমান পরিস্থিতি

এর আগে ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসন সেনাবাহিনীতে ট্রান্সজেন্ডারদের নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করেছিল। তবে তখন নতুন নিয়োগ বন্ধ থাকলেও, আগে থেকেই কর্মরত সদস্যদের বহাল রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন এবং ট্রান্সজেন্ডারদের সেনাবাহিনীতে পুনরায় যোগদানের অনুমতি দেন। তবে বর্তমান নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ট্রান্সজেন্ডারদের সেনায় যোগদানের সুযোগ পুনরায় বন্ধ হয়ে যাবে।

এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে মার্কিন রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ও সমকামী অধিকার আন্দোলনের নেতারা এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র বিরোধিতা করেছেন এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy