
বলিউডের ভাইজান সলমন খানকে নিয়ে আলোচনা মানেই বিতর্কের ঝড়। মিডিয়ার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা, ভক্তদের প্রতি রূঢ় আচরণ, বলিউডে ক্ষমতার দাপট কিংবা অপরাধ জগতের সঙ্গে নাম জড়ানো— সবকিছু মিলিয়ে তিনি প্রায়ই থাকেন সংবাদের শিরোনামে। তবে এসব বিতর্কের আড়ালেও একদল মানুষ তাঁকে ভগবানের মতো দেখেন। কারণ, চুপিসারে বহু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। সলমনের সহায়তায় অনেক অসুস্থ ও দুস্থ মানুষ নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন।
তবে এই মানবিক কাজের প্রচার তিনি নিজেই করেন না। করোনা মহামারির সময় চুপিসারে গোটা একটি গ্রামের খাদ্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। এমনকি নিজের ভিলায় আশ্রয়ও দিয়েছেন বহু মানুষকে। তাহলে কি সত্যিই তাঁর উপার্জনের ৯০ শতাংশ সমাজসেবায় ব্যয় হয়? এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন সলমন। সরাসরি উত্তর না দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর হেসে বলেন, “৯০ শতাংশ না হলেও বেশিরভাগটাই মানুষের উপকারে চলে যায়।”
সলমন জানান, তাঁদের বাড়িতে প্রতিদিন অনেক অসহায় মানুষ সাহায্যের জন্য আসেন। তাঁর বাবা সেলিম খান একের পর এক চেক সই করেন। কারও চিকিৎসার খরচ, কারও অস্ত্রোপচারের টাকা— কাউকে ফেরানো হয় না। সলমনের কথায়, “ফলে নিজের জন্য মাত্র ১০ শতাংশই থেকে যায়। বাবা যেভাবে সাহায্য করেন, তাতে আয় না বাড়িয়ে উপায় নেই। ‘বিইং হিউম্যান’ থেকে যে মুনাফা আসে, সেটাও মানুষের সেবায় ব্যয় হয়।”
সলমনের মানবিকতার উদাহরণ বলিউডে অনেক রয়েছে। অনেকের ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করেছেন, আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। অর্জুন কাপুরও একসময় তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, যদিও পরবর্তীতে তাঁদের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়। তবে সেসব অতীত। এখন তিনি পুরোপুরি ব্যস্ত নতুন প্রজন্মের বলিউড তারকাদের গড়ে তুলতে।