সমস্যা নয়, সমবয়সীর সঙ্গে প্রেম করার রয়েছে সুবিধা!

প্রেম বলে কয়ে আসে না। প্রেম মানে না বয়স। যে কেউ যে কারোর প্রেমে পড়তে পারে। তারপরও কিছু কিছু মানুষ মনে করে, প্রেমের সম্পর্কে দুজনের বয়সের পার্থক্য থাকা উচিত। যদিও সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এখন সম্পর্কের জন্য বয়সের বিষয়টি মাথায় রাখলে একেবারেই চলবে না। কারণ এই বিষয়টিকে উতরে দিয়েই এখন নতুন সম্পর্কের রসায়ন লেখা হয়।

অবশ্য এখন অনেকেই সমবয়সে প্রেম করে থাকেন। এবার বাড়ির বড়রা বলেন, সমবয়সে প্রেম করলে নাকি অনেক সমস্যা। আদতে তা নয়, বরং সমবয়সে প্রেম করার কারণে সুবিধাটাই বেশি।

বোঝাপড়া সহজ হয় :

এক বয়সের মানুষ সাধারণত একই ধরনের চিন্তা করে থাকেন। তাই তাদের মধ্যে ভালোবাসা অনেকটাই বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে তারা কী চাইছেন, কীভাবে চাইছেন, এই বিষয়গুলো সহজেই বোঝা সম্ভব হয়। এমনকী দুটি মানুষ একে অপরের সঙ্গে খুব সহজেই কানেক্ট করতে পারেন। ফলে সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে কম।

চুটিয়ে প্রেম করা যায়:

প্রেম করতে গেলে দুটি মানুষের মধ্যে ভালোবাসা প্রয়োজন। এবার ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করতে গেলে পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া থাকতে হয়। দেখা গিয়েছে, বয়সের তফাত খুব বেশি হলে মানুষ একে অপরের সঙ্গে ঠিক প্রেম করতে পারেন না। কারণ তাদের মধ্যে বয়সের অনেকটা ফারাক একটা অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি করে রাখে। এই তফাতটা তারা সচারচর মিটিয়ে ফেলতে পারেন না। এদিক থেকে সমবয়সে প্রেম করার একটা সুবিধা রয়েছে।

পরস্পরের থেকে চাহিদা কম:

সমবয়সি মানুষ জীবন সংগ্রামের একই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে থাকেন। এবার সম্পর্কে থাকা দুটি মানুষই নিজের জীবনের একই স্তরে চলায় বেশ সুবিধাই হয়। এক্ষেত্রে দুজনেই হয়তো কলেজে পড়ছেন, দুজনেই হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করছেন, কিংবা চাকরিতেও এরা একইরকম স্তরে থাকেন। এবার এই একই স্তরে থাকার ফলে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা সমস্তটাই তারা বুঝতে পারেন।

​বন্ধু:

দেখা গিয়েছে, সমবয়সী মানুষগুলো প্রথমে একে অপরের বন্ধু থাকেন। তারপর সময়ের সঙ্গে সেই বন্ধুত্ব একটা জায়গায় গিয়ে ভালোবাসায় পরিণত হয়। এবার নিজের লাইফ পার্টনার হিসাবে বন্ধুকে পেলে মানুষ ভালোই থাকেন। তারা একে অপরকে খুব সহজেই বুঝে উঠতে পারেন। ফলে অনেক গুরুতর সমস্যার হয়ে যায় সহজ সমাধান। এক্ষেত্রে নিজেদের বন্ডিং হয় খুব ভালো। তাই আর চিন্তা নেই।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy