নানারকম অসুখ থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিনের পাশাপাশি ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেলসমৃদ্ধ খাবারও রাখতে হবে। আর এসব উপকারী উপাদানগুলো পাওয়া যাবে সবজিতে। তাই মাছ-মাংসের পাশাপাশি নিয়ম করে খেতে হবে সবজি। কিন্তু সবজি কাটার ক্ষেত্রে ভুল করে বেশিরভাগ মানুষ। আর সেকারণেই সব পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় অথবা কিছুটা কমে যায়। ফলে এমন সবজি খেয়ে উপকার মেলে না। তাই সঠিক পুষ্টি পেতে জেনে নিন কীভাবে সবজি কাটবেন-
সবজি কাটার আগে ধুয়ে নিন: সবজির খোসা ছাড়ানোর আগেই পরিষ্কার জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এতে সবজির গায়ে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। পাশাপাশি এতে থাকা ভিটামিনের ক্ষমতাও বাড়বে।যদি খোসা ছাড়ানোর পর ধোওয়া হয়, সেক্ষেত্রে সব ভিটামিন ধুয়ে যাবে। ফলে কোনো উপকারই মিলবে না। তাই সবজি কেটে তারপর ধোয়া নয়, বরং খোসা ছাড়ানো এবং কাটার আগেই ধুয়ে নিন।
ধারালো ছুরি দিয়ে সবজি কাটুন: ভোঁতা কিছু দিয়ে সবজি কাটলে সবজি ঠিক করে কাটা যায় না এবং এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারী উপাদান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, যেখানে ধারালো দা/বটি/ছুরি ব্যবহার করলে এমন ঘটনা ঘটে না। পাশাপাশি সবজিতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও কমে। ছুরি বা গ্রেটার দিয়ে একবার সবজি কাটার পরে ভালো করে সেগুলো ধুয়ে নেয়া উচিত।
ছোট টুকরো নয়: সবজি কাটার সময় কখনোই ছোট ছোট টুকরো করবেন না। তাতে সবজির আর্দ্রতা দ্রুত কমে গিয়ে তা নষ্ট হয়ে যাবে। এমনকী, সবজির পুষ্টিগুণও কমবে। মোটা মোটা টুকরো করে সবজি কাটলে এতে থাকা প্রতিটি পুষ্টিকর উপাদানগুলো ঠিক থাকে।
খোসাসহ কাটুন: আলু, এবং শসা কাটার সময় খোসা ছাড়াবেন না। খোসাসহই রান্না করুন। কারণ, এসব সবজির খোসায়ও প্রচুর ভিটামিন-মিনারেল মজুত থাকে। তাইতো এই সবজিগুলো খোসাসমেত খেলে আরও বেশি মাত্রায় উপকার মেলে। আর যদি কোনো সবজির খোসা ছাড়াতেই হয়, তাহলে খুব বেশি করে তুলে ফেলবেন না যেন। বরং যতটা খোসা রেখে কাটা যায়, সেই চেষ্টাই করবেন। এভাবে কেটে রান্না করলেই মিলবে সঠিক উপকার।