সপ্তাহে তিন দিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের কর্মীরা। হাজার হাজার কর্মী সোমবার থেকে চার দিনের কর্মদিবস শুরু করেছেন। এখন থেকে সপ্তাহে চারদিন কাজ আর তিনদিন ছুটি তাদের। আর ছুটির এই বড় সুযোগ পেলেও বেতন কিন্তু আগের মতোই থাকছে। তবে এই কার্যক্রম পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছে বলে সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নতুন একটি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী ছয় মাস ধরে কর্মীরা সপ্তাহে চার দিন কাজ করবেন। তবে এখনই পুরো যুক্তরাজ্যে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। আপাতত দেশটির ৭০টি কোম্পানির ৩ হাজার ৩০০ কর্মী এই সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে রেস্টুরেন্ট ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এই কর্মসূচির আওতায় কর্মীরা সপ্তাহে ৮০ শতাংশ কম সময় দিয়েও বেতনের পুরো অর্থই পাবেন। তবে তাদের অবশ্যই শতভাগ উৎপাদনশীলতায় নিশ্চিত করতে হবে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বোস্টন কলেজের গবেষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই প্রকল্প পরিচালনা করছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ফোর ডে উইক গ্লোবাল, থিংক ট্যাঙ্ক অটোনমি এবং ফোর ডে উইক ইউকে ক্যাম্পেইন।
লন্ডনের প্রেশার ড্রপ ব্রিউইংয়ের ব্র্যান্ড ম্যানেজার সিয়েনা ও’রর্ক সিএনএন জানান, তাদের কোম্পানির প্রধান লক্ষ্য ছিল কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সার্বিক উন্নয়ন। তিনি বলেন, করোনা মহামারি আমাদের কাজ এবং মানুষ কিভাবে জীবন-যাপন করছে সে বিষয়গুলো নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। আমরা আমাদের কর্মীদের জীবনমান উন্নত করতে এবং বিশ্বে একটি প্রগতিশীল পরিবর্তনের অংশ হওয়ার জন্যই এই কার্যক্রম শুরু করেছি।
সাধারণ ছুটি এবং অসুস্থতাজনিত ছুটির দিনগুলোতে কর্মীরা একটি দল হিসেবে কাজ করবেন বলে জানানো হয়েছে। কর্ম দিবস কমিয়ে আনতে সবচেয়ে বড় দুটি পাইলট প্রকল্প চালু করেছে আইসল্যান্ড। ২০১৫ ও ২০১৯ সালের ওই দুই প্রকল্পে ২ হাজার ৫শ কর্মী অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন। এই ট্রায়ালে অংশ নেওয়া কর্মীদের উৎপাদনশীলতায় তেমন একটা ঘাটতি চোখে পড়েনি। তবে কর্মীদের জীবনমানে নাটকীয়ভাবে উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।
বিশ্বের অনেক দেশেই এখন সাপ্তাহিক কর্ম দিবস কমিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে ঘরে বসে কাজ করার বিষয়টিও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতে খরচ এবং সময় কমছে।