সঙ্গীকে সারাক্ষণ মেসেজ করেন? অজান্তেই বড়ো ভুল করছেন না তো?

হাতে হাতে মোবাইল ফোন আর ইচ্ছে করলেই টুক করে মেসেজ পাঠিয়ে দেওয়া প্রিয়জনকে। সেলফোনের সর্বাধিক বাড়বাড়ন্তের এই যুগে দূরত্বটা আর কোনও ব্যাপারই নয়! কিন্তু হাতে সেলফোন আছে বলেই সারাক্ষণ বয়ফ্রেন্ডকে মেসেজ করে যেতে হবে এটাও কোনও কাজের কথা নয়। আবার যখন মেসেজ করছেন তখন কীভাবে মেসেজ করছেন, কী লিখছেন, সেটাও সমান জরুরি। মানে ধরা যাক আপনার প্রেমিক যখন বসের সামনে টার্গেট রিপোর্ট দিচ্ছেন, তখন যদি আপনি সমানে মেসেজ পাঠিয়ে যান, ওঁর বিরক্ত হওয়া খুব স্বাভাবিক। আবার মেসেজে ইমোটআইকনের অতিরিক্ত ব্যবহারও অনেকের কাছে বিরক্তির কারণ হতে পারে, দীর্ঘ মেসেজ পেতে পছন্দ করেন না অনেকে।

আসলে পরস্পরের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলার সময় আমরা যেমন কিছু আদবকায়দা মেনে চলি, তেমনি টেক্সট মেসেজ করার সময়ও কিছু সহবত মেনে চলা দরকার। শুধু বয়ফ্রেন্ড বা স্বামীর সঙ্গে কথা বলার সময়ই নয়, এমনিতেও টেক্সট করার সময় মাথায় রাখুন এই নিয়মগুলো।

অতিরিক্ত ইমোজি ব্যবহার
তিন-চারটে শব্দের মাঝখানে একটা করে হাসি-কান্নামূলক ইমোজি গুঁজে দেওয়া অভ্যেস আপনার? বিশ্বাস করুন, একটা সময়ের পর ইমোটআইকন দেখলেই বিরক্ত লাগে। বেশি জিজ্ঞাসা চিহ্ন বা বিস্ময়বোধক চিহ্নের বেলাতেও একই কথা! তাই নিজের আঙুল সংযত রাখুন, মেসেজের প্রতিটি বাক্যের পর একটা করে ইমোজি গোঁজার কোনও দরকার নেই!

দীর্ঘ মেসেজ
টেক্সট মেসেজের আসল উদ্দেশ্যটা কী বলুন তো? সংক্ষেপে মোদ্দা কথাটা বলে দেওয়া যাতে প্রাপক এক নজরে দেখেই বিষয়টা বুঝে নিতে পারেন। মাইলের পর মাইল টেক্সট মেসেজ পড়া বিরক্তিকর এবং অত কথার ভিড়ে হয়তো আপনার মূল বক্তব্যটাই প্রেমিক বুঝে উঠতে পারলেন না, সে আশঙ্কাও রয়েছে পুরোদমে। তাই সবসময় চেষ্টা করুন অল্প কথায় বক্তব্য বুঝিয়ে দেওয়ার।

ঘন ঘন মেসেজ করা
প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর মেসেজ করেন? অজান্তেই কিন্তু আপনি বিরক্তিকর হয়ে উঠছেন। আপনার মেসেজে যত আবেগই থাক, ঘন ঘন মেসেজ করতে থাকলে বিষয়টার গুরুত্ব নষ্ট হয়ে যায়, আপনার নিরাপত্তাহীনতাই প্রকট হয়ে ওঠে।

খুব কম মেসেজ করা
ধরা যাক বয়ফ্রেন্ড আপনাকে কোনও একটা মেসেজ করলেন, অথচ আপনি কোনও উত্তরই দিলেন না। এরকম হলেও সাবধান। প্রথমত জরুরি মেসেজের উত্তর না দেওয়া মানে আপনার দায়িত্ববোধের অভাবকে স্পষ্ট করে দেওয়া, দ্বিতীয়ত আপনার সম্পর্কটাকেই অবহেলা করা। দুটো ক্ষেত্রেই বুঝে আচরণ করা ভালো!

টেক্সট মেসেজে ঝগড়াঝাঁটি
একদম চলবে না। বয়ফ্রেন্ড বা স্বামীর সঙ্গে আপনার মতানৈক্য হতেই পারে, সেটা সমাধান করতে হবে সামনাসামনি বসে কথা বলে। উত্তেজিত টেক্সট বিনিময় কোনও কাজের কথাই নয়।

টেক্সট করে ঘ্যানঘ্যান করবেন না
স্বামীর কোনও আচরণে আপনার খারাপ লাগতেই পারে, কিন্তু সমানে টেক্সট করে খারাপ লাগাটা প্রকাশ করবেন না। কারণ একসময় ব্যাপারটা এতটাই বিরক্তির পর্যায়ে চলে যাবে যে তার প্রভাব সম্পর্কের উপরেও পড়তে পারে। সেখান থেকে ফিরে আসার পথটা কিন্তু কঠিন!

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy