
অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে শ্রীলঙ্কায় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত। গত কয়েকদিন ধরে শ্রীলঙ্কায় অস্থিরতা ভয়ঙ্করভাবে বেড়ে গিয়েছে। মহিন্দা রাজাপক্ষে সোমবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সরকারপক্ষ ও সরকার বিরোধী পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৮ জন প্রাণ দিয়েছে।
শেষ কয়েকদিন শ্রীলঙ্কায় যা ঘটেছে তার ধারাবাহিক তথ্য রইল:
মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমর্থকরা সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার দাবি করেছিল।
মহিন্দা রাজাপক্ষে সোমবার পদত্যাগের পরপরই দ্বীপরাষ্ট্রে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তার পদত্যাগের পরপরই, হাম্বানটোটায় রাজনৈতিকভাবে-প্রভাবশালী রাজাপক্ষে পরিবারের পৈতৃক বাড়িটি বিক্ষোভকারীরা আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মঙ্গলবার সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর কর্মীদের সর্বজনীন সম্পত্তি লুণ্ঠন বা অন্যদের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া জনতার উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে৷
কুরুনেগালায় প্রধানমন্ত্রী মহিন্দার বাড়িতেও বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কা সরকার দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছে এবং রাজধানী কলম্বোতে সেনা মোতায়েন করেছে।
রাজাপক্ষে এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদদের বাড়িতে হামলার ফলে তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় হাইকমিশন এই ধরনের গুজবকে ‘ভুয়ো এবং স্পষ্টত মিথ্যা’ বলে অস্বীকার করেছে।
সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা রাজাপক্ষে পরিবার এবং তার অনুগতদের দেশ থেকে পালাতে বাধা দেওয়ার জন্য কলম্বোর বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় একটি চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে বলে জানা গিয়েছে।
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি গোতবায়া রাজাপক্ষেকে কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে নজিরবিহীন হিংসা এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন৷
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতবায়া রাজাপক্ষে মঙ্গলবার সহ নাগরিকদের বিরুদ্ধে হিংসা এবং প্রতিশোধমূলক কাজ বন্ধ করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন।
কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জ শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার প্রায় এক মাস পরে মঙ্গলবার বাজারে ছুটি ঘোষণা করেছে।