শুধু স্ত্রী কাজল নয়, রবিনা ট্যান্ডনকেও প্রেমপত্র লিখতেন অজয় দেবগান!

কাজল-অজয় বি-টাউনের সফল দম্পতিদের তালিকায় এখনো টিকে আছেন। মেয়ে নাইস র ছেলে যুগকে নিয়ে সুখের সংসার এই লাভ বার্ডসের। এই লাভ বার্ডস ১৯৯৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী মাসে মারাঠি রীতি মেনে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের আগেই অজয় দেবগানের জীবনে আসে দুজন খানদানি নায়িকা। এই দুজন রমণীর প্রেমে হাবুডুবু খেতেন অজয় দেবগান। একটা সময় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অজয় দেবগানের মার্কেট অন্যান্য নায়কদের তুলনায় তুলনামূলক অনেক কমই ছিল। যদিও আজকের ‘তানজি’ হোক বা ‘সিংঘম’ সব লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন হ্যান্ডসম অজয়।

দিনদিন যেমন তার জেলা , ক্যারিশ্মা বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি কেরিয়ার শুরুর দিকে তিনি দুজন অভিনেত্রীর সঙ্গে জড়িয়েও যান। ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার পর নাম জড়ান ‘টিপ্ টিপ্ বরষা পানি’র নায়িকা রাবিনা ট্যান্ডনের সঙ্গে। যদিও সেই সম্পর্ক ক্ষণস্থায়ী হয় এবং শেষ হয় চরম তিক্ততায়। এক সাক্ষাত্কারে রবিনা ও বলেছিলেন অজয়ের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আত্মঘাতীও হতে গিয়েছিলেন। তিনি এমন বলেছিলেন অজয়ের দেওয়া একটি প্রেমপত্র এখনো তার কাছে আছে। অবশ্য এরপরে ফুঁসে ওঠেন অজয়। বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় রবীণার সেই দাবি ঘিরে। তখন অজয় সাফ বলেছিলেন প্রেমপত্র দেখাতে, এমনকলি রুবিনাকে পাগল অবধি বলেছিলেন। সকলের সামনে বলেছিলেন রবীণাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে।

রবিনাদিয়েই শেষ নয়। অভিনেত্রী কারিশমার সঙ্গেও বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে পরিণত হয়েছিল সম্পর্ক। কোথাও কোথাও তো এমন দাবি করা হয়েছিল তাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। যদিও করিশ্মা কাপুর জানায় ওপ্ত কম বয়সে বিয়ে নয় ক্যারিয়ার ইম্পরট্যান্ট। তবে ‘হালচাল’ সিনেমাতে যখন অজয়-কাজলকে দেখা হ্যা তখন থেকেই করিশ্মার জীবনে ওঠে নতুন ঝড়। যদিও প্রথম দেখাতে অজয় কাজলের প্রেমে পড়েননি তবে শুটিং শেষে তাদের প্রেম জমে ওঠে। যদিও দুজনের কেউ কাউকে প্রপোস করেননি তবে শেষ হয় বিয়ে দিয়ে। এদিকে তখন ও রবিনা করিশ্মা প্রথমের দিক থেকে বাদের তালিকায় পরে গিয়েছিলেন।

বলিউডে পরবর্তীতে এমন গুঞ্জিন ওঠে যে অজয় দেবগানের সঙ্গে বলি কুইন কঙ্গনার অন্তরটা অন্যদিকে পৌঁছেছে। এবং সেই সময় অজয়কে ডিভোর্সের হুমকিও নাকি দিয়েছিলেন কাজল। যদিও এই সবই গুঞ্জন। যার কোনো সত্যতা নেই। তবে ইটা সত্যি অজয় কাজল আজকের দিনে দাঁড়িয়েও মোস্ট পাওয়ারফুল কাপল।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy