হোয়াইট হাউজের হ্যালোইন পার্টিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শিশুদের সঙ্গে মজার খেলা এবং বিশেষত কয়েকটি বাচ্চার পা ‘মজা করে কামড়ানোর’ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে অনুষ্ঠিত এই উৎসবটি হোয়াইট হাউজের সাউথ লনকে শিশুদের জন্য সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। এতে স্থানীয় শিক্ষার্থী, পরিবারের সদস্য এবং সামরিক পরিবারের শিশুদের জন্য বিভিন্ন সাজসজ্জা ও আকর্ষণীয় কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়েছিল। মার্কিন
প্রথম লেডি জিল বাইডেন একটি পান্ডা কস্টিউম পরে উপস্থিত হয়ে শিশুদের মাঝে জনপ্রিয় বই ‘টেন স্পুকি পাম্পকিনস’ বিতরণ করেন।
আর প্রেসিডেন্ট বাইডেন শিশুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও তাদের হাতে হোয়াইট হাউজেরর বিশেষ মোড়কে মোড়ানো মিষ্টি তুলে দেন। প্রেসিডেন্টকে অনেক শিশুদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা এবং ছবি তুলতে দেখা যায়। এই সময়ে তিনি একটি টার্কি কস্টিউম পরা শিশুর পা মজা করে ‘কামড়’ দিতেও দেখা গেছে। এছাড়া একটি আইসক্রিম কস্টিউম পরা শিশুর পায়ে তিনি ‘মজা করে কামড়’ দেন এবং একটি নীল পোশাক পরা শিশুর সঙ্গে আরও কিছু সময় কাটান।
এই দৃশ্যগুলো কৌতুকময় হলেও কিছু রক্ষণশীল ব্যক্তি ভিডিওগুলো নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। রক্ষণশীল বিশ্লেষক বেনি জনসন সম্প্রতি বিচার বিভাগের এক রিপোর্টে রাশিয়ার রাজনীতির প্রতি সহানুভূতিশীল ধারণা প্রচারের অভিযোগে আলোচিত হন। তিনি টার্কি কস্টিউম পরা শিশুকে ‘বাইডেন কামড় দিচ্ছেন’ এমন একটি ছবি শেয়ার করেন। তার পোস্টে বুধবার সকালের মধ্যে ৭ লাখ ৪০ হাজার ভিউ ছাড়িয়ে যায়।
রক্ষণশীল আইনজীবী ও সাবেক ট্রাম্প উপদেষ্টা জেনা এলিস বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে টুইটারে লিখেছেন, ‘এটা কি বাস্তব হতে পারে?’
সেভ আমেরিকা সমাবেশের অন্যতম আয়োজক কাইলি জেন ক্রেমার বলেছেন, কারও পুলিশকে কল করা উচিত। প্রেসিডেন্ট বাইডেন একটি শিশুর পায়ের আঙুল মুখে তিনবার নেন!
এই ঘটনার সময় জিল বাইডেনের একটি হ্যালোইন গল্প বলার সেশন ছিল। তা শিশুদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি করে। সাজসজ্জায় ছিল বড় একটি কমলা রঙের চাঁদ, সবুজ রঙে রাঙানো ফোয়ারা এবং শারদীয় রঙের থিমের বিশেষ পটভূমি ছিল। অনুষ্ঠানে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং ‘ডার্থ ভাডার’ চরিত্রগুলোর উপস্থিতি শিশুদের আরও আনন্দ দেয়। এছাড়া প্রেসিডেন্টের লিমুজিন থেকে একটি ক্যান্ডি মটরকেডও দেখা গেছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব কারিন জ্যঁ-পিয়ের। তাদের সন্তানরাও এতে অংশ নেয়।