শপিং মলে বন্দুকধারীর গুলি, ‘সন্ত্রাসী হামলা’ নয়, বলছে পুলিশ

ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গত রোববার (৩ জুলাই) একটি শপিং মলে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যা এবং আরও চারজনকে গুরুতর আহত করেছে এক বন্দুকধারী। তবে এই ঘটনার পেছনে কোনো সন্ত্রাসী উদ্দেশ্য দেখছে না দেশটির পুলিশ।

পুলিশ বলেছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে একটি রাইফেল ও গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ২২ বছর বয়সী ওই তরুণকে ‘জাতিগত ডেন’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

পুলিশ প্রধান সোরেন থমাসেন বলেছেন, ওই তরুণের মানসিক সমস্যা ছিল। তবে তার আক্রমণের পেছনে কোনো ‘সন্ত্রাসী উদ্দেশ্য’ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ওই তরুণকে সোমবার আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। তবে গণমাধ্যমের সামনে শুনানিতে রাজি হননি বিচারক। তিনি বলেছেন, রুদ্ধদ্বার কক্ষে মামলাটির বাকি শুনানিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বন্দুকধারী ও নিহতদের নাম প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ড্যানিশ আদালত।

জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী দুজন ডেনমার্কের নাগরিক, আরেকজন ৪৭ বছর বয়সী রুশ। আহত চারজনের মধ্যে দুজন ড্যানিশ এবং দুজন সুইডিশ নাগরিক, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এর আগে, গত রোববার ‘ফিল্ডস’ নামের বিশাল শপিং মলটিতে হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা গেলে কেনাকাটা করতে আসা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই দৌড়ে বেরিয়ে আসতে থাকেন, অন্যরা যে যেখানে পারেন লুকিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী এসে উপস্থিত হয়।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, শপিং মলে লোকজনের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছিল বন্দুকধারী। তবে এ ঘটনায় তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল না।

সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর একটি ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে শর্টস ও হাতকাটা কালো টিশার্ট পরা এক ব্যক্তিকে একটি অস্ত্র হাতে দেখা যায়।

পুলিশ বলছে, তার সঙ্গে একটি রাইফেল, একটি পিস্তল ও একটি ছুরি ছিল। দেশটির মানসিক স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সংস্থার কাছে লোকটি পরিচিত, তবে এর বেশি কিছু জানায়নি পুলিশ।

ডেনমার্কে এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। সবশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। কোপেনহেগেন শহরে একই দিনে দুটি জায়গায় ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যা এবং ছয় পুলিশ কর্মকর্তাকে আহত করে। এরপর পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী নিজে নিহত হয়।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy