যাঁরা রান্নাবান্নায় উৎসাহী, তাঁদের লকডাঊন পর্বটা বেশ মজাতেই কাটছে। নানা রকম রান্না করে পরিবারের সকলের মন জোগাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু যাঁরা রান্নায় তেমন আগ্রহী নন, তাই তেমন গুছিয়ে বাজারও করে উঠতে পারেননি – তাঁরা পড়েছেন মহা মুশকিলে! রোজ সেই এক চাল-ডাল-আলু-ডিম রাঁধতেও বিরক্তি লাগছে, তাই না? এই পরিস্থিতিতে আমাদের টিপসগুলি কাজে লাগতে পারে।
চাল
ভাতের সুবিধে হচ্ছে, তা হজম করা সহজ। আর বাড়তি ভাত থাকলে তা দিয়ে নানা ইন্টারেস্টিং পদ রেঁধে নিতে পারবেন। যেমন ধরুন, একটা ডিম বা খানিকটা চিকেন অথবা চিংড়ি সাদা তেলে রসুন, পেঁয়াজ, লঙ্কা বা কিছু সবজিসহ ভেজে নিন, হাতের কাছে কোনও সস থাকলে মেশান, নুন-চিনি দিন। শেষে ভাত দিয়ে ভেজে নিলেই চমৎকার ফ্রায়েড রাইস তৈরি হয়ে যাবে।
ডাল
ঘরবন্দি দশায় আপনার প্রোটিনের সেরা উৎস হচ্ছে ডাল। সব রকম ডাল কিনে রাখা উচিত। মটর ডাল মিক্সিতে বেটে নিন অল্প আদা, কাঁচালঙ্কা, জিরে দিয়ে। তার পর সামান্য তেল, কালোজিরে, নুন-হলুদ, হিং দিয়ে ফেটিয়ে নিয়ে ভেজে নিন তেলে। দারুণ স্বাদু বড়া তৈরি হবে। তা দিয়ে হালকা ঝোলও বানিয়ে নেওয়া যায়। টিফিন বক্সে এই মিশ্রণ ভরে মাইক্রোওয়েভে দিন। মিনিট সাতেক চড়া আঁচে রান্না করে নিলেই সেট করে যাবে। তার পর বের করে কেটে ভেজে নিন, তৈরি সহজ ধোঁকা! আর ডালের ফোড়ন নিয়ে তো অজস্র পরীক্ষা করা যায়। নানা রকম খিচুড়ি রাঁধুন, সবজি মেশান — তোফা লাগবে খেতে।
ডিম
ডিম মানেই আমরা বুঝি সেদ্ধ, ভাজা, পোচ, তাই না? জানেন, আফ্রিকার সর্বত্র ‘শাকশুকা’ বলে একটি পদ দারুণ জনপ্রিয়। সেটি মূলত টোম্যাটো, আদা, রসুন পেঁয়াজের গ্রেভি। ঝোল ফুটতে আরম্ভ করলে তার উপর সাবধানে একটি একটি করে ডিম ভেঙে দিয়ে দিন। ঝোল আর পোচ একসঙ্গে রেডি হয়ে যাবে।ts