ইউক্রেনে হামলাকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এতে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। লাফিয়ে বাড়ছে মূল্য। মার্কিন কোম্পানি জেপিমরগানের বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, রাশিয়া প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে যদি উৎপাদন কমিয়ে দেয় তাহলে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে ৩৮০ ডলারে দাঁড়াতে পারে। বর্তমানে এক ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের মূল্য প্রায় ১১২ ডলার।
নাতাশা কানেভাসহ জেপিমরগানের বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে রাশিয়ার অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। এটি এখন দৈনিক ৫০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন কমাতে পারে। সে সক্ষমতা তাদের রয়েছে।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমায় তাহলে বিশ্বের জন্য বিপর্যয়কর হবে। উৎপাদন ৩০ লাখ ব্যারেল কমালে লন্ডনে ক্রুড তেলের দাম হবে হবে ১৯০ ডলার। আর যদি উৎপাদন ৫০ লাখ ব্যারেল কমানো হয় তাহলে ব্যারেল প্রতি মূল্য দাঁড়াবে ৩৮০ ডলার।
তারা আরও বলেন, রাশিয়ার তেলের ওপর মূল্যসীমা নির্ধারণ করলে ঝুঁকি বাড়তে পারে। প্রতিশোধ নিতে রাশিয়া যদি উৎপাদন কমিয়ে দেয় তাহলে তা পশ্চিমাদের জন্য ভয়াবহ হবে।