রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে ইউক্রেনে। এর মাঝে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র, এমন খবর মিলছে। শিগগির মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্যাকেজ ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিভিন্ন সূত্রের তরফে জানা গেছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ইউক্রেনকে সহায়তায় ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এবারও একই পরিমাণের সহায়তার ঘোষণা আসতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণার ব্যাপারে আশা করছেন তারা। তবে প্যাকেজের আকার কত বড় হবে তা নিয়ে এখনো কাজ চলছে।
সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসনের তরফে ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য যে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে আর্টিলারি সিস্টেম, আর্টিলারি রাউন্ড, সাঁজোয়া যান, উপকূলীয় প্রতিরক্ষা নৌকাসহ আরও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি।
যদি এ সপ্তাহের সহায়তা প্যাকেজটির আকার বড় হয় তবে ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে মোট মার্কিন সামরিক সহায়তার পরিমাণ হবে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সহায়তার কিছু চালান ইউক্রেনে এরই মধ্যে পৌঁছেছে। বাইডেন প্রশাসন সূত্রে জানা যায় ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়ার প্রত্যাশিত ‘বৃহত্তর আক্রমণ’ মোকাবিলার জন্য তৈরি করা নতুন অস্ত্র এই সামরিক সহায়তায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ না করলে ‘অপ্রত্যাশিত পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় রাশিয়ার পুতিন সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। দুই পক্ষের লড়াইয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ।
সূত্র: রয়টার্স