
রাশিয়ার তীব্র হামলার মুখে পূর্বাঞ্চলীয় সেভেরোদোনেৎস্ক শহর ছাড়তে সেনাবাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন সরকার।
স্থানীয় একজন সরকারি কর্মকর্তার মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইউক্রেনের সেনাদের শহর থেকে সরে নতুন জায়গায় অবস্থান নিতে বলা হয়েছে।
সেভেরোদোনেৎস্কের দখল নিতে কয়েক মাস ধরে তুমুল লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর। দুই পক্ষের লড়াইয়ে শহরটির ৯০ শতাংশ ঘরবাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে নানা অবকাঠামো। এ পরিস্থিতিতে রুশ বাহিনী সেভেরোদোনেৎস্কের পাশাপাশি লিসিচানস্ক শহরটিও দখলে নিতে চাইছে।
লুহানস্কের আঞ্চলিক প্রধান সেরহি হাইদাই স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকালে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, সেভেরোদোনেৎস্কের ওপর কয়েক মাস টানা গোলাবর্ষণ হয়েছে। এখন ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে পিছু হটে নতুন জায়গায় অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। সেখান থেকেই লড়াই চলবে।
তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ শহর সেভেরোদোনেৎস্ক থেকে কখন পিছু হটতে শুরু করবে, তা জানাননি সেরহি হাইদাই। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আজ সকালেও শহরটিতে রুশ বাহিনীর সঙ্গে তাদের লড়াই হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সেভেরোদোনেৎস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও লিসিচানস্ক শহরের আরও কিছু এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, সেখানে ইউক্রেনের সেনারা অবরুদ্ধ হওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন। তাই হয়তো সেনাদের আগেভাগে সেখান থেকে পিছু হটার নির্দেশ দিয়েছে কিয়েভ।
পশ্চিমের স্বার্থপর আচরণ ও নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে ব্রিকস দেশগুলোর উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে আয়োজিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে পুতিন এ কথা বলেন। এর মধ্য দিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর কার্যত বিশ্বমঞ্চে ফিরলেন পুতিন।
রুশ বাহিনীর অবস্থানের দিকে নিশানা স্থির করছেন ইউক্রেনের এক সেনা। গত শুক্রবার দেশটির পূর্বাঞ্চলে দোনেস্কের আভদিভকাতে
পশ্চিমা দেশগুলোকে ইঙ্গিত করে ব্রিকস (রাশিয়া ছাড়াও ব্রাজিল, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট) নেতাদের পুতিন বলেন, ‘কিছু রাষ্ট্রের অশুভ উদ্দেশ্য ও স্বার্থপর আচরণের জন্য বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকট তৈরি হয়েছে। শুধু সৎ ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আমরা এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজতে পারি।’