মহেশ ভাটের মেয়ে আলিয়ার সঙ্গেই বিয়ে হলো ছেলের রণবীর কাপুরের। ঠিক যেমনটি চেয়েছিলেন, তেমনই হলো। কেবল নিজের চোখে দেখে যেতে পারলেন না ঋষি। আনন্দ-উৎসবের মাঝেও তাই চোখের চোখ ভিজে উঠছিল নীতু কাপুরের।
তবে সেই মন খারাপের আঁচ লাগতে দিলেন না কোথাও। ব্যস্ত বিয়েবাড়িতে নিজের ভেতরের কষ্টটাকে আনন্দে বদলে নেওয়ার ফাঁক খুঁজছিলেন ‘যুগ যুগ জিও’র এ নায়িকা। সদ্য বিবাহিত ছেলে-বউমার দিকে তাকিয়ে তার খুশি যেন ধরে না!
প্রয়াত স্বামী ঋষি কাপুরের সঙ্গেও সেই খুশির মুহূর্ত ভাগ করে নিতে চেয়েছেন নীতু। দুটি ছবি পোস্ট করলেন নিজের ইনস্টাগ্রামে। বাম দিকের ছবিতে বরবেশে রণবীর, তার কাঁধ জড়িয়ে অনাবিল হাসছেন সুসজ্জিত নীতু কাপুর।
ডান দিকে একটি পুরোনো পারিবারিক ছবি। যেখানে ঋষি, নীতুর সঙ্গে রয়েছেন রণবীর ও আলিয়াও। আলিয়া যেন একেবারে ঘরের মেয়ে। সেই ছবির স্মৃতি পোস্ট করে নীতু লিখলেন, ‘কী কাপুর সাহেব সাধ মিটলো তো? তোমার জন্যই..। এতদিনে তোমার ইচ্ছে পূরণ হলো তো?’।
বিয়েবাড়িতে সবাই বর-কনে নিয়েই ব্যস্ত। সদ্য শাশুড়ি নীতুও কম যান না! অপরূপ সাজে তিনিও আলো কেড়ে নিলেন বিয়ের আসরে। ইদানিং কাজে ফিরতেই বয়স যেন এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গেছে নীতুর। পোশাকশিল্পী ডলি জইনের তৈরি মোমরঙা লেহঙ্গার ওপরে রঙিন ফুল ও জরির কাজে তাকে দেখাচ্ছিল তরতাজা কিশোরী!
সেই সঙ্গেই নীতু এদিন পাপারাজ্জিদের সামনে স্পষ্ট করেন, বিয়ের পর কোনো রিসেপশন পার্টি হচ্ছে না। ছুটি শেষ, শিগগির যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন ‘রণলিয়া’।
নবপরিণীতা আলিয়া ভাটও একটি স্মৃতি শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। তিনি লিখেছেন, পরিবার-পরিজনদের মাঝে প্রিয় বারান্দায় যে জীবনের এতখানি কেটে গেলো, সে কী কম সৌভাগ্য। রণবীরের সঙ্গে ৫ বছরের সম্পর্ক যেখানে পূর্ণতা পেয়েছে, সেই একই বাড়িতে বিয়ে হওয়ায় স্মৃতির ঝুলি বাড়তেই থাকলো।
আলিয়ার ভাষ্য, ‘সবার ভালোবাসায় আমরা এক হতে পেরেছি। আরও অনেক অনেক স্মৃতি গড়ে তুলবো দুজনে। আনন্দ-হুল্লোড় কিংবা শান্তির নীরবতায়। কখনো আবার ছোট ছোট ঝগড়া-অভিমানে ভরবে বাকি জীবন। চিজে কামড় দেবো, ভাসবো ওয়াইনের মাদকতায়।’