সম্পর্কের শুরুটা সবার ক্ষেত্রেই খুব মধুর হয়ে থাকে। দুষ্টু-মিষ্টি সেই সম্পর্কে ভালোবাসাও থাকে পরিপূর্ণ। তবে ধীরে ধীরে অনেক সম্পর্কেই কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে পুরুষের চাইতে নারীদের অভিযোগটা একটু বেশি থাকে।
অনেক নারীই অভিযোগ করেন, সম্পর্কের শুরুতে সঙ্গী তার প্রতি যতটা মনোযোগী ছিলেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি ততটাই উদাসীন হয়ে গেছেন। তবে এর পেছনে নানান কারণই থাকতে পারে। সম্পর্ক-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সঙ্গীর আগ্রহ হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে-
আবেগের প্রকাশ
পরিচয়ের শুরুতেই একে অপরের প্রতি খুব একটা আন্তরিক থাকা হয় না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন সঙ্গীর প্রতি ভালোলাগা বাড়তে থাকে তখন নারীরা তা প্রকাশ করা শুরু করে এবং তা খুব স্বাভাবিক। তবে এমন ক্ষেত্রে অনেক পুরুষ সঙ্গীই বুঝে উঠতে পারে না কীভাবে এর প্রতি সাড়া দিতে হয়। তাই তারা নিজেদেরকে অনেক সময় দূরে সরিয়ে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
অনিরাপত্তাবোধ
অনেক নারী আছেন যারা সঙ্গীকে অহেতুক সন্দেহ করেন। সবসময় মোবাইল চেক করে থাকেন। এতে সঙ্গী আপনার অনিরাপত্তাবোধ সম্পর্কে অবগত হয়। সঙ্গীর নারী বন্ধু, চলা ফেরার ধরন ইত্যাদি বিষয়ে সবসময় প্রশ্ন করলে ধীরে ধীরে সে আপনার প্রতি আকর্ষণ হারাতে পারে।
শারীরিক আকর্ষণ
শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সম্পূর্ণ বিপরীত। নারীরা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে পুরুষের প্রতি মানসিকভাবে বেশি আকর্ষিত ও সংযুক্ত হয়। অন্যদিকে, পুরুষেরা সহজেই ও দ্রুত আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে। তাই সম্পর্কের শুরুতেই সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যুক্ত হওয়া একটা বড় ভুল। তাছাড়া যেকোনো কারণে যৌন সম্পর্ক ত্যাগ করাও দুজনের মাঝে দূরুত্ব আনতে পারে।
ভালোবাসায় জোর করা
সম্পর্কের শুরুতে সব কিছুই সুন্দর থাকে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুভূতি আরো গাঢ় হয় ও গুরুত্ব বাড়তে থাকে। নারীরা সম্পর্কের প্রতি মানসিকভাবে দুর্বল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীর ওপরেও জোর খাটাতে শুরু করে। একই অনুভূতি পুরুষের ক্ষেত্রে না হলে সে সঙ্গীর প্রতি বিরক্ত হয় ও দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারে।
অসম্মান করে কথা বলা
সঙ্গীকে অসম্মান করে কথা বলবেন না। সে যদি বুঝতে পারেন যে তাকে অসম্মান করছেন তাহলে সে ধরে নেবে যে, আপনি সুখী নন। এতে করে ধীরে ধীরে তার অস্বস্তি বাড়বে এবং সে আপনার সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করবে।ts