
দুমাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধে চালিয়েও ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া৷ এবার ইউক্রেনের দেখানো পথেই রাশিয়ার প্রতিবেশী ফিনল্যান্ড এবার যোগ দিতে চায় ন্যাটোতে। যদিও ন্যাটোতে যোগ দিতে চেয়ে এখনও অনুমতি পায়নি ইউক্রেন৷ তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করে আসছে ন্যাটো ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি৷
রাশিয়ার উপর চাপ বাড়িয়েছে ন্যাটোর সদস্যরা
ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে প্রথমটায় রাশিয়ার দিকে পাল্লা ভারী থাকলেও প্রবল প্রত্যাঘাত করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ন্যাটোর দেশগুলিও। সবমিলিয়ে চাপে পড়েছে পুতিনের দেশ। এবার সেই চাপ আরও বাড়ল, ন্যাটোর সদস্য হতে চাইল তাদেরই প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ড।
কী বলছেন ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি?
ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি এবং সরকার রবিবার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা ন্যাটোর সদস্য হতে চায়। ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে সাংবাদিক সম্মেলনে দেশের রাষ্ট্রপতি সাউলি নিনিস্ত্রো এবং প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন এই ঘোষণা করেন৷ যদিও আগামী কিছুদিনের মধ্যেই সরকারিভাবে এই আবেদন করতে হবে ফিনল্যান্ডকে। যদিও সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণার পর তা নিতান্তই আনুষ্ঠানিক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ন্যাটো
বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতির পাশাপাশি কূটনীতিতেও প্রভাব পড়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের। ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চাপে পড়েছে রাশিয়াও। সেখানের নাগরিকদের ভুগতে হচ্ছে কঠিন পরিস্থিতিতে। মনে করা হচ্ছিল, মার্চ মাসের শেষের দিকেই অভিযান শেষ করবে রাশিয়ান সেনা৷ তবে মে মাসের অর্ধেক পেরোলেও তা বাস্তবে ঘটেনি।
কেন ন্যাটোর সদস্য হতে চায় ফিনল্যান্ড?
মূলত বৈদেশিক সাহায্যের দরুনই রাশিয়ার মতো প্রবল প্রতিপক্ষকে ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে ইউক্রেন। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু প্রদেশ পুনর্দখলও করেছে ইউক্রেন সেনা। সেখানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শায়েস্তা করছে জেলেনেস্কি সরকার৷ এমতাবস্থায় রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ফিনল্যান্ডের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। তবে এবার তারাও হাত মেলাতে চলেছে ন্যাটোর সঙ্গে।