মিনিটে মিনিটে জল তেষ্টা পাচ্ছে কি? তাহলে অবশ্যই পড়ুন

রীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে জল তেষ্টা বেড়ে যায়। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু মিনিটে মিনিটে তেষ্টা লাগাটা মোটেও ভাল লক্ষণ নয়। এমনটা হওয়া মানে বুঝতে হবে কোনও জটিল রোগ অথবা শরীর সম্পর্কিত অন্য কোনও কারণে এমনটা হচ্ছে। সাধারণত যে যে কারণে এমন লক্ষণ দেখা দেয়, সেগুলি সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। আপনি কি দিনে ৩-৪ লিটার জল খান? তবুও তেষ্টা যেন মেটেই না? তাহলে তো সময় নষ্ট না করে যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ শরীরে নুন এবং জলের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলেই সাধারণত এমন সমস্যা দেখা দেয়। আর যেমনটা আগেও বলেছি, এমন লক্ষণ দেখা যাওয়াটা মোটেও স্বাভাবিক নয়।
অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের কারণেও শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়। তখন বারংবার জল তেষ্টা পাওয়ার মতো লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। আর ডিহাইড্রেশন কেন হয়? অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। যেমন- মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা, ডায়ারিয়া, বারংবার বমি হওয়া, ঘাম প্রভৃতি। এই প্রবন্ধে যে যে কারণগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, সেগুলির জন্য বারে বারে জল তেষ্টা পাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
১. ডায়াবেটিস: রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কিডনির উপর খুব চাপ পরে। ফলে বারংবার প্রস্রাব হতে শুরু করে। আর এমনটা হলেই শরীরে জলের স্বাভাবিক মাত্রা কমে যায়।। যে কারণে বারে বারে জল তেষ্টা পেতে থাকে।
২. ডায়াবেটিস ইনসাইপিডাস: এটি খুবই বিরল রোগ। এক্ষেত্রে শরীরে হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো না হওয়ার কারণে শরীর দ্বারা জলের শোষণ ঠিক মতো হয় না। সেই সঙ্গে বেশি মাত্রায় প্রস্রাব হওয়ার কারণেও শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে জল তেষ্টা বেড়ে যায়।
৩. পিরিয়ডের সময়: মাসের এই একটা সময়ে মেয়েদের জল তেষ্টা খুব বেড়ে যায়। কারণ এই সময় ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরণ হরমোন মাত্রাতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যাওয়ার কারণে শরীরে জলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে মিনিটে মিনিটে জল তেষ্টা পেতে থাকে।
৪. মুখ শুকিয়ে গেলে: মুখ গহ্বর শুকিয়ে যাওয়াকে অনেকে জল তেষ্টার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। অনেক কারণে মুখ শুকিয়ে যেতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিউকাস মেমব্রেন ড্রাই হয়ে যাওয়ার কারণেই মুখ গহ্বর শুকতে শুরু করে।
৫. অ্যানিমিয়া: শরীরে রক্তের অভাব দেখা দিলে অনেক সময় জল তেষ্টা খুব বেড়ে যায়। আসলে এই ধরনের পরিস্থিতি দেখা দিলে শরীর, কমে যাওয়া রক্তের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করে। যে কারণে শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়। আর এমনটা হলে কি হতে পারে নিশ্চয় এখন অপনারা জেনে গেছেন!
৬. রক্তচাপ কমে গেলে: ব্লাড প্রেসার কমে গেলে মাথা ঘোরা, অবসাদ, অ্যাংজাইটি এবং মাত্রাতিরিক্ত জল তেষ্টা পাওয়ার মতো লক্ষণগুলি দেখা দেয়।
৭. ডায়েট: সেলারি, বিট, লেবু প্রভৃতি খাবার খেলে প্রস্রাবের মাত্রা খুব বেড়ে যায়। যে কারণে জল তেষ্টাও বাড়তে থাকে।ts

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy