মুখের গর্ত বা ছিদ্র অনেকাংশেই আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য দায়ী। এই সমস্যা তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে বেশি দেখা দেয়। দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকলে মুখের লোমকূপগুলো খুলে যায়। কারণ এতে কোলাজেন ড্যামেজড হয় ও লোমকূপের দেয়ালগুলোর স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। একই ভাবে উন্মুক্ত লোমকূপের কারণে ত্বক তার স্থিতিস্থাপকতা হারায় এবং বয়স বেশি দেখায়।
জেনেটিক কারণে স্ট্রেস এবং ত্বকের যত্ন না নিলেও লোমকূপ উন্মুক্ত হয়। কিছু সহজ স্বল্প মূল্যের ও প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে লোমকূপের সমস্যাটি কমানো সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই ঘরোয়া উপায়গুলো সম্পর্কে-
মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটিকে “ফুলারস আর্থ” ও বলা হয় যা উন্মুক্ত লোমকূপকের জন্য উপকারী প্রাকৃতিক প্রতিকার। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং ত্বকের এক্সফলিয়েট করে। এছাড়াও ত্বকের ক্ষত ও দাগ কমাতে সাহায্য করে এবং সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাবের ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখে।
দুই টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৬ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঘষে উঠিয়ে ফেলুন এবং ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মাটির এই মাস্কটি সপ্তাহে এক বা দুই বার ব্যবহার করুন।
বরফ
বড় লোমকূপ সংকুচিত করার সহজ ও কার্যকরী উপায় হচ্ছে বরফ লাগানো। কারণ বরফের ত্বক টান টান করার ক্ষমতা আছে। মেকআপ করার আগে বড় লোমকূপকে কমানোর জন্য প্রায়ই বরফ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বরফ সংবহনকে উদ্দীপিত করে ও ত্বককে স্বাস্থ্যকর করে।
পরিষ্কার কাপড়ে কয়েকটি বরফের টুকরো নিয়ে ত্বকের উপর ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এইভাবে প্রতিদিন কয়েকবার করুন। যখন ত্বকের উন্নতি লক্ষ্য করবেন তখন বরফ ব্যবহারের মাত্রা কমাতে পারেন। বিকল্প উপায় হিসেবে আপনি বরফ ঠাণ্ডা জল দিয়ে প্রতিদিন একবার মুখ ধুতে পারেন। আরও ভালো ফল পাওয়ার জন্য বরফের টুকরার সঙ্গে শশার রস, আপেলের রস, গ্রিন টি বা গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।