ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে দ্রুত বিস্তার ঘটছে ভাইরাসজনিত ‘নোজ ব্লিড ফিভার’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, এ জ্বরে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৯ জন; আক্রান্ত ১১১। অসুস্থদের বেশিরভাগই মধ্যবয়সী পুরুষ।
স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, তীব্র জ্বরের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হয় মৃত্যু। শরীরের অভ্যন্তরে ক্ষরণের পাশাপাশি, নাকের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে রক্ত। এ ভাইরাসের কোনো নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন নেই। এটি দ্রুতহারে বিস্তার ঘটায়। মূলতঃ গবাদি পশুর শরীরেই দেখা যায় রোগটি। টিক বা এঁটেল পোকার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ায় শরীরে।
এর আগে গেলো বছরও, মাত্র ১৬ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছিলো সংক্রমণ। এবার, আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে নো ব্লিড ফিভার। এরজন্য, করোনা মহামারির প্রভাবকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের অভিমত, সহজেই কাবু হচ্ছেন শারীরিকভাবে দুর্বলরা। গবাদি পশুর খামারগুলোয় দেখা দিয়েছে মড়ক। এ কারণে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কসাইর দোকানপাট। ঈদুল আজহায় এটি আরও ছড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যবিদরা।