দু’টি সাদা শজারু, দু’টি আর্মাডিলো, ৩৫টি কচ্ছপ, ৫০টি টিকটিকি ও ২০টি সাপ। দু’টি বাক্সে ভরা ছিল ওই সব প্রাণী। সব জীবন্ত। সেগুলো নিয়েই বিমান ধরেছিলেন দুই ভারতীয় নারী। তবে ব্যাংকক বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন তারা।
১০৯টি জীবন্ত প্রাণী পাচারের চেষ্টা করছিলেন ওই দুই নারী। ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের এক্স-রে যন্ত্রে ধরা পড়ে ওই সব। ধৃতদের নাম নিত্যা রাজা এবং জাকিয়া সুলতানা ইব্রাহিম। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা আইন ২০১৯, পশুরোগ আইন ২০১৫ এবং আবগারি আইন ২০১৭-তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
প্রাণীগুলোকে ভারতে এনে তারা কী করতেন, উদ্ধারের পর সেগুলিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে সব জানাননি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যাংকক থেকে ভারতে পশু পাচারের চেষ্টা আগেও হয়েছে। ২০১৯ সালে ব্যাংকক থেকে চেন্নাই বিমানবন্দরে নেমে ধরা পড়েন এক ব্যক্তি। তার ব্যাগে ছিল এক মাসের চিতাবাঘের শাবক।
গত মাসেও চেন্নাই বিমানবন্দরে দু’বার প্রাণী পাচারের চেষ্টা ভেস্তে দেওয়া হয়। ২০১১ থেকে ২০২০ সালে ভারতের ১৮টি বিমানবন্দরে ৭০ হাজার প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলিই বিলুপ্তপ্রায়।