বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন আর অনাগত জীবন নিয়ে চিন্তা হবে না, তাই কি হয়! এদিকে আবার বিয়ের নানা আয়োজন নিয়ে হাজারটা ব্যস্ততা। এসবের ভিড়ে অনেক ভুলভাল কাজ করে ফেলা বা সিদ্ধান্ত নেয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। এক্ষেত্রে কনের দুশ্চিন্তা কিংবা ব্যস্ততার পরিমাণ বরের থেকে কোনো অংশেই কম নয়। বরং ঠিকানা বদল করে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেয়ার মতো মানসিক চাপও তাকে নিতে হয়। তাই বিয়ের আগে কনেকে মাথায় রাখতে হবে এই সাত বিষয়-
মন শান্ত রাখুন: বিয়ের কথাবার্তা চলতে শুরু করলেই নানা চিন্তা মাথায় এসে ভর করবে এটাই স্বাভাবিক। বিয়ের আয়োজন নিয়ে নানা ব্যস্ততা, কাজের চাপও থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে মনের উপর চাপ পড়তে দেবেন না। সবকিছু সামলে চলার চেষ্টা করুন। মনকে শান্ত রাখুন।
বাজেট বুঝে ব্যয় করুন: বিয়েতে নানা আয়োজন করতে মন চাইবে। কিন্তু মনকে সব সময় পাত্তা দেবেন না। কারণ বিয়েতে এমন অনেককিছু কেনা হয়, যেগুলো পরবর্তীতে তেমন কোনো কাজে আসে না। তাই মন চাইলেই হুট করে কিনে ফেলবেন না। আগে প্রয়োজনটা বুঝুন। বিয়ের খরচের ক্ষেত্রে বাজেটের দিকটাও ভাবুন। সাধ্যের বাইরে গিয়ে সাধ মেটাবেন না।
শরীরের যত্ন নিন: বিয়ের সময় নানা খাটখাটনিতে শরীরের দিকে নজর দেয়ার সময় পান না অনেকেই। এটি একদমই ঠিক নয়। সময়মতো সঠিক খাওয়াদাওয়া করুন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। তাতে বিয়ের দিনেও আপনাকে দারুণ গ্ল্যামারাস দেখাবে।
সংকোচ নয়: কোনো বিষয় আপনার পছন্দ না হলে সেটি বলতে একদমই সংকোচ করবেন না। নিজের ইচ্ছে বা পছন্দ নিয়ে সংকুচিত না থেকে স্পষ্টভাবে জানান। আপনাদের দু’জনের মতের মিল হলেই সেটি মেনে নিন।
বিয়ের তারিখ: প্রায় সব মেয়েই চান নিজের পছন্দমতো দিনটিতে বিয়ে করতে। এক্ষেত্রে অনেক সময় বরের উপর কনের সিদ্ধান্ত অনেকটা চাপিয়েই দেয়া হয়। এমনটা করতে যাবেন না যেন। বরং দু’জনেরই সুবিধা-অসুবিধা বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
রাগ সামলে রাখুন: কথায় আছে, একশো কথার এক কথা হলে তবেই বিয়ে। বুঝতেই পারছেন, নানাজনের নানা কথা শুনে আপনার রাগ লাগতেই পারে। তাই বলে রেগে যাবেন না যেন! মাথা একদম বরফ ঠান্ডা করে রাখুন। রাগ সামলে চলাই হবে বুদ্ধিমতির কাজ।
নিজস্বতা বজায় থাকুক: মাথা ঠান্ডা রাখবেন ঠিকই, তবে সবার সব মতামত মুখ বুজে মেনে নিতে যাবেন না যেন! বরং স্বাভাবিক গলায়, স্পষ্ট করে নিজের মত জানান এবং তা মেনে চলুন।TS