বিয়ের পর জটিলতা এড়াতে হবু স্বামীর সঙ্গে এই চারটি জরুরি বিষয়ে অবহ্যই কথা বলুন

প্রেমের সম্পর্ক থাকলে সেখানে ঝগড়াঝাঁটি হবেই! এ কথা সত্যি, ঝগড়াঝাঁটির মাত্রাটা যদি কোনও কারণে বেড়ে যায়, তা হলে সম্পর্কটাই একসময় ভেঙে যেতে পারে। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও সত্যি যে, মতের অমিল, ভাবনার দূরত্ব মিটিয়ে সম্পর্ক মসৃণ করে তুলতে মতান্তরের একটা ভূমিকা রয়েছে। পরস্পরকে ভালোভাবে বুঝতে এবং পরস্পরের কাছে নিজেকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে মতান্তর খুবই কাজের! কাউন্সেলরেরা বলছেন, যদি সামনে বিয়ে থাকে তা হলে হবু স্বামীর সঙ্গে যত মতান্তর হয় ততই ভালো, কারণ তাতে নিজেদের সমস্ত মতপার্থক্য মিটিয়ে নিতে পারবেন আপনারা! দেখে নিন কী কী বিষয়ে নিজেদের মতপার্থক্য বিয়ের আগে থেকেই পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত!

সোশাল মিডিয়ার আচরণ
সারাক্ষণ পার্টনার নিজের সোশাল মিডিয়ার টাইমলাইনে আপনাদের সম্পর্কের কথা, ছবি পোস্ট করতে থাকেন? সেটা যদি আপনার পছন্দ না হয়, তা হলে নিজের অপছন্দের কথা জানান। তেমনি আপনার পার্টনারেরও যদি আপনার সোশাল মিডিয়ার কোনও আচরণ অপছন্দ হয়, তিনিও সেটা আপনাকে জানাবেন। সে ক্ষেত্রে দু’জনে মিলে সোশাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি ছকে নিতে পারবেন।

সন্তানের জন্ম
বিয়ের রেজিস্ট্রিতে সই করার আগেই এ নিয়ে আলোচনা করা দরকার। বিয়ের কতবছর পর আপনি সন্তান চান, ক’টি সন্তান চান, দত্তক সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে আছে কিনা, নাকি নিঃসন্তান থাকতে চান, এ সব পরিষ্কার আলোচনা করে নিন। মতপার্থক্য থাকলে তা বিয়ের আগেই মিটিয়ে ফেলতে হবে।

কেরিয়ার
চাকরিজীবনে এমন অনেক পরিবর্তন আসতে পারে যার সঙ্গে বিয়ের পরে মানিয়ে নেওয়া অসুবিধেজনক। পার্টনারদের কোনও একজনকে অন্য শহরে চলে যেতে হতে পারে, কেউ চাকরি ছেড়ে স্বাধীন ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ সব ব্যাপারে আগে থেকে কিছু আলোচনা সেরে নিলে পরে অনেক বড়ো ঝামেলা এড়াতে পারবেন।

সাংসারিক দায়দায়িত্ব
সংসারের দায়িত্বগুলো কীভাবে ভাগ হবে, সে নিয়ে বিয়ের আগেই আলোচনা সেরে ফেলা দরকার। স্বামী-স্ত্রী কে কোন কাজটা করবেন, তা নিয়ে আগেই দু’জনে মিলে খোলাখুলি কথা বলে নিন। তাতে বিয়ের পরে অনেক অবাঞ্ছিত সমস্যা এড়াতে পারবেন।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy