রূপকথার বিবাহ যেন। সাত বছর প্রেমের পর চার হাত এক হয়েছে দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নয়নতারা ও ভিগনেশ শিবনের। তামিল প্রথা মেনে লাল শাড়ি আর ঘি-সোনালি রঙা ধুতি-পাঞ্জাবিতে নববিবাহিত দম্পতির অসামান্য ছবিতে মুগ্ধ হয়েছেন সবাই।
কিন্তু সেই আনন্দ নিমিষেই শেষ করে দিলো এক নোটিশ। তিরুপতি মন্দিরের পক্ষ থেকে এ অভিনেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কারণ, নয়নতারা ও ভিগনেশ মন্দিরের নিয়ম ভেঙেছে। সদ্যবিবাহিত নয়নতারা ও তার স্বামী ভিগনেশ জুতা পরেই ঢুকেছিলেন মন্দিরে। তার ওপর আবার সেখানে ঢুকে নাকি ফটোশুট করেছেন নবদম্পতি। যা একেবারেই মন্দিরের নিয়মের বাইরে।
সম্প্রতি নয়নতারা-ভিগনেশের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তারা জুতা পরে মন্দির ঢুকছেন। তা চোখে পড়েছে মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষীর।
তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম বোর্ডের প্রধান নিরাপত্তারক্ষী নরসিংহ কিশোর বলেন, জুতো পরে মন্দির ঢোকা একেবারেই নিষিদ্ধ। তার ওপর তারা ছবিও তুলেছেন। এখানে কোনও ব্যক্তিগত ক্যামেরা নিয়ে ঢোকাও নিষেধ। এরপর আমরা অভিনেত্রীকে নোটিশ পাঠিয়েছি।
বিয়ের পরপরই মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে যে এভাবে নিয়মভঙ্গের দায়ে পড়বেন, আইনি নোটিশ পাবেন, তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি দক্ষিণের তারকা অভিনেত্রী।
তবে নিজের ভুলও বুঝতে পেরেছেন নয়নতারা। মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের অভিনেত্রী জানান যে জুতা পরে মন্দিরে পা রাখার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। এক ভিডিও বার্তা দিয়ে তার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাইতেও রাজি বলে জানান।
গত ৯ জুন মহাবলীপুরমের রিসোর্টে একেবারে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে একে অপরের জীবনসঙ্গী হওয়ার অঙ্গীকার করেছেন নয়নতারা-ভিগনেশ। ২০১৫ সালে দক্ষিণী ছবি ‘নানুম রাউডি’তে প্রথম জুটি বাঁধেন ভিগনেশ ও নয়নতারা। তখন থেকেই প্রেম। প্রথম ছবিতেই সুপারহিট নয়নতারা ও ভিগনেশ জুটি।
এরপর রিলের জুটি রিয়াল হয়ে ওঠে। ধীরে ধীরে উভয়ের প্রেম, পরিণয়। প্রথমে কথা ছিল, তিরুপতি মন্দিরে ঈশ্বরকে সাক্ষী রেখেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন তারা। কিন্তু পরে পরিস্থিতি সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত বদল হয়। আর তাই বিয়ের পরই তারা মন্দিরে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে আইনি বিপাকে জড়ালেন দক্ষিণ ভারতের তারকা দম্পতি।