বিয়ের ক্ষেত্রে মিথ্যা বলবেন না যে কারণে!

মিথ্যা কখনোই কারও জন্য ভালো কিছু করে না, বিশেষ করে সম্পর্কের ক্ষেত্রে। মিথ্যা ভয়ঙ্কর, তা যত বড় বা ছোট হোক না কেন। আপনার বলা একটি মিথ্যা বিশ্বাস, বোঝাপড়া এবং বিশ্বাসকে সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে একটি সম্পর্ককে শেষ করে দিতে পারে।

এগুলো সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং এর পরিণতি হয় বিষাক্ত। কিন্তু কখনো কখনো লাভ-ক্ষতির হিসাব না করেই আমরা মিথ্যা বলে ফেলি। এমনকী বিয়ের মতো সম্পর্কের শুরুও অনেক সময় হয় মিথ্যার মাধ্যমে! মিথ্যা তো ক্ষতি করেই, বিয়ের ক্ষেত্রে মিথ্যা বললে কী পরিণতি হতে পারে জেনে নিন-

অবিরাম ভয়:

আপনার মিথ্যা যখন সঙ্গীর কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে তারপর থেকে আপনার সঙ্গী অবিরাম ভয় পেতেই থাকবে। কারণ তার ধারণা হবে যে আপনি যেকোনো সময় যেকোনো বিষয়ে মিথ্যা বলতে পারেন। আপনার বলা মিথ্যা একবার প্রমাণিত হলে, এরপর আপনি যা কিছুই বলুন না কেন, আপনার সঙ্গী প্রশ্ন করা শুরু করবে। সে আরও ঘন ঘন আপনার কথা এবং কাজকে সন্দেহ করতে শুরু করবে।

স্বার্থপরতা:

আপনি যখন মিথ্যা বলেন, তখন আপনার স্বার্থপর দিকটি প্রকাশ হয়ে যায়। আপনি আপনার আগ্রহগুলোকে সবার উপরে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং এতে বোঝা যায় যে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি স্বার্থপর। এটি আপনার সঙ্গীর কখনোই ভালো লাগবে না।

সম্মানের অভাব:

আপনি যখন বিয়েতে মিথ্যা বলেন, তখন এটি প্রকাশ হয় যে আপনি আপনার সঙ্গীকে যথেষ্ট সম্মান করেন না। সম্মানের অভাব বিয়েতে একটি গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। কারণ বিয়ে ছাড়াও যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই সম্মান একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্তম্ভ।

ভারসাম্যহীনতা:

বিয়ের মতো সম্পর্কের শুরু যখন মিথ্যা দিয়ে হয়, তখন উভয় অংশীদারের জন্য ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। একটি সম্পর্কের ভারসাম্য হলো ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দগুলো মেনে নেওয়ার পাশাপাশি একে অপরকে বিশ্বাস করা এবং বুঝতে পারা।

মিথ্যা ঢেকে রাখা:

একটি মিথ্যাকে ঢেকে রাখার জন্য আপনি আরও অনেক মিথ্যা বলে থাকেন এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি বিয়ের সম্পর্ককে বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এটি আপনাকে বা আপনার সঙ্গীকে অভ্যাসগত মিথ্যাবাদী হতে বাধ্য করে যা সম্পর্ক এবং ব্যক্তিত্ব উভয়কেই খুব নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। এরপর ক্ষতি অপূরণীয় হয়ে ওঠে।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy