বিশেষ: সৌদি আরবে যেভাবে উদযাপিত হয় ঈদ, জেনেনিন আপনিও

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ইদুল ফিতর। ঈদের নামাজ, নতুন পোশাক, ঐতিহ্যবাহী খাবার, অসহায়দের সাহায্য আর প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটিয়েই সৌদি আরবে খুশির এই দিনটি উদযাপন করা হয়। ঈদ উপলক্ষে দেশটিতে তিন দিন সরকারি ছুটি থাকে।

ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি-ঘর সাজানো, ঈদ সেলামি, ভালো খাবার-দাবারের আয়োজন, অতিথি আপ্যায়নসহ নানা আয়োজন থাকে সৌদি আরবে।

ঈদের নামাজ শেষে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় সৌদিবাসী।আমাদের দেশের সালামির মতো এ সময় প্রিয়জন বিশেষ করে শিশুদের দেওয়া হয় অর্থ, খেলনা ও নতুন পোশাকের মতো বিভিন্ন উপহার। এমনকি অমুসলিমদের উপহার দিতেও তারা ভোলে না।

ঈদের নামাজ শেষে বাড়িতে বিশেষ খাবার রান্না হয়। তৈরি হয় ভেড়ার মাংস আর টমেটোর সমন্বয়ে তৈরি সুস্বাদু ঐতিহ্যবাহী খাবার মুগালগাল। আরও তৈরি করা হয় মসলাযুক্ত মাংসের সঙ্গে গম দিয়ে তৈরি জারেশ। সঙ্গে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী আরব দেশের মিষ্টি জাতীয় খাবার তো রয়েছেই।

ঈদের দিন সৌদি মুসলিমরা অসহায় ও দুস্থদের সাহায্য করে থাকে। এটা দেশটির ঈদ উদযাপনের অংশ। মানুষের মাঝে উদারতার কোনো কমতি থাকে না এই দিনে। এদিন তারা বাজার থেকে বেশি পরিমাণে চাল কিনে আনে। আর তা বাড়ির প্রবেশ দরজার বাইরে রেখে দেয়। যেন অসহায় ও অভাবগ্রস্ত মানুষ তা নিয়ে প্রয়োজন মেটাতে পারে। এছাড়াও এই দিনটিতে গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণও করা হয়।

ঈদ উপলক্ষ্যে এই দিনে অনেক দোকানি ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ছাড়া দেন।

এই দিনে পুরুষরা কান্দর নামের সাদা পোশাক পরিধান করে মাথায় দেয় গাহফিহ নামের টুপি। নারীরা এই দিনে থাউব নামের বিশেষ পোশাক পরে থাকে।

ঈদের সন্ধ্যায় সৌদিবাসী তাদের সেরা ফ্যাশনেবল পোশাক, সাধারণত ঈদের জন্য কেনা নতুন জামাকাপড় পরে বাইরে যায়। এ সময় তারা ঈদ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আতশবাজি দেখে এবং একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানায়।

পবিত্র মাসের শেষ উপলক্ষ্যে সৌদি জুড়ে বেশ কয়েকটি কনসার্ট এবং ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।অনেকেই বাইরে ঘুরতেও যায়।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy