বিশেষ: বেসরকারি চাকরি ছেড়ে, 22 প্রজাতির আম চাষ করে বছরে 50 লাখ টাকা আয়!

আপনি যতই পরা শোনা করুন না কেন আপনি ভালো জায়গায় একটি ভালো কাজ পেয়েও হয়তো সন্তুষ্টি পাবেননা। এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে 43 বছর বয়সী কাকাসাহেব সাওয়ান্তের সাথে। তিনি একসময় অটোমোবাইল সংস্থায় কাজ করতেন।

আমের গাছ লাগিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন লোকেরা তাকে নিয়ে মজা করত কিন্তু এখন সেই লোকেরাই তাকে এবং তার কাজকে প্রশংসা করে। কাকাসাহেব সাওয়ান্ত যে জায়গা থেকে এসেছেন সেখানে ভাল আমের ফলন হয় না। সেখানকার লোকেরা বলতেন যে কঙ্কনে কেবলমাত্র

উন্নত মানের হাপাস আমের ফলন হতে পারে।কিন্তু কাকাসাহেব তার কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা এই সকলের বিশ্বাসকে ভুল প্রমাণ করেছিলেন। এর আগে কাকাসাহেব তার দুই ভাই যারা স্কুল শিক্ষক ছিলেন তাদের সহায়তায় মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি জেলার জাট তালিকায় অন্তর গ্রামে প্রায় কুড়ি একর জমি কিনেছিলেন। তিনি যে জায়গাটি কিনেছিলেন তা ছিল খরাপ্রবণ অঞ্চল। 280 টি পরিবার নিয়ে এই গ্রাম শহর থেকে 15 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই গ্রামের কৃষক ভাইয়েরা বেশিরভাগ আঙ্গুর এবং ডালিমের চাষ করেন। এছাড়া এখানে বাজরা, যব, গম ও ডালের চাষ করা

হয়। এর আগে কাকাসাহেব প্রযুক্তিগত ইনস্টিটিউটে সদস্য হিসেবে কাজ করতেন। তারপরও তিনি বদলি হয়ে গ্রামে ফিরে কৃষিকাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। 2010 সালে তিনি জমিতে একটি আমের বাগান করেছিলেন এবং পাঁচ বছর পরে তিনি এতে ব্যবসার সুযোগ দেখেছিলেন।

তারপরে কাকাসাহেব সরকারের সহায়তায় পুকুর ও জলের সমস্যা সম্পর্কিত আরো অনেক কর্মসূচি পরিচালনা করেন। যার কারণে এই গ্রামের জলের পরিস্থিতি উন্নত হয়েছিল। তারপরে তিনি সেই জমিটি কে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন। একটি অংশে আমের গাছ লাগিয়েছেন এবং অন্য

অংশে কৃষি কাজ করেছেন। তিনি দশ একর জমিতে আমের গাছ এবং 10 একর জমিতে সবেদা ডালিম এবং পেয়ারা জাতীয় ফলের গাছ লাগিয়েছেন। বর্তমানে কাকাসাহেব প্রতি একটি একর জমি থেকে প্রতিবছর 2 টন আমের উৎপাদন পান এবং এখন অন্যান্য কৃষকরাও তার

কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন। এর বাইরে তিনি 25 জনকে কর্মসংস্থানও দিচ্ছেন। কাকাসাহেব সাওয়ান্তের নার্সারি অন্যান্য প্যাকেজগুলোতে নির্মাণের জন্য সরকারের অনেক ভর্তুকি ও পেয়েছিলেন। তারা প্রতিবছর বিভিন্ন জাতের প্রায় দু’লাখ আমের গাছ বিক্রি করেন। তার আমের বাগানে 22 জাতের আমের গাছ রয়েছে।।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy