বিশেষ: বিশ্বের ভয়ংকর পাঁচ রেস্টুরেন্ট, খেতে গেলেই ভয়ে শিহরিত হবেন আপনিও

বেশিরভাগ মানুষ তাদের পছন্দের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত সময় কাটানোর জন্যই রেস্টুরেন্টে যান। তবে কখনো কী এমন কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন, যেখানে খাবার খেতে হয় কবরের পাশে বসে কিংবা মানুষের শরীর কেটে? অবাক করা হলেও সত্যিই যে এমনই ব্যবস্থা আছে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টও।
আর এই কারণেই বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর রেস্টুরেন্টের তকমা পেয়েছে কয়েকটি রেস্টুরেন্ট। এমনকি এসব রেস্টুরেন্ট বেশ জনপ্রিয়ও বটে। কারণ ভয় পেতে পেতে খাবার গ্রহণের আনন্দই নাকি আলাদা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বিশ্বসেরা পাঁচ ভয়ংকর রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে-

ডিনার ইন স্কাই, বেলজিয়াম

বেলজিয়ামের বিখ্যাত এক রেস্টুরেন্ট হলো ডিনার ইন স্কাই। সেখানে পাঁচ পদ দিয়ে সাজানো খাবারের থালা পরিবেশন করা হয় মাঝ আকাশে। মাটি থেকে এই রেস্টুরেন্টের উচ্চতা প্রায় ১৬০ ফিট। এই রেস্টুরেন্টের চেয়ার ও টেবিল হাওয়ায় ভাসে। খেতে বসলে মনে হবে যেন নাগরদোলায় বসে খাবার খাচ্ছেন। এই রেস্টুরেন্টে আছে ২২টি টেবিল। তবে সেখানে খাওয়ার আগে আপনাকে এক কোটি ডলারের বিমার নথিতে সই করতে হবে। যাদে হাইটফোবিয়া বা উচ্চতা থেকে ভয় আছে তাদের সেখানে না যাওয়াই ভালো। বেলজিয়াম ছাড়াও বিশ্বের ৪৫টি দেশে এই রেস্টুরেন্টের শাখা আছে।

মাগ হাউস পাব, উওরচেস্টার, ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ডের মাগ হাউস পাবের প্রবেশ দ্বারে ঢুকতেই আপনি ভিন্ন জগতে হারিয়ে যাবেন। সুন্দর একটি স্থান থেকে আঁকাবাঁকা গোলকধাঁধার মতো পথ দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে হয়। এরপর দেখতে পাবেন আপনি কবরখানায় ঢুকে পড়েছেন। সেখানে বার, বসার জায়গাসহ সব ধরনের বিনোদনেরই ব্যবস্থা আছে। মাঝে মাঝে চারপাশে থেকে শোনা যায় ভয়ানক সব শব্দ। সেসব শব্দ শুনে মাঝে মধ্যেই গা শিউরে উঠবে।

নিউ লাকি রেস্টুরেন্ট, আহমেদাবাদ, গুজরাট
গুজরাটের নিউ লাকি রেস্টুরেন্টে গেলে আপনি দ্বিধায় পড়ে যাবেন! কারণ রেস্টুরেন্ট নয় বরং কবরস্থান বলে মনে হবে আপনার। তবে একটু খেয়াল করলেই বুঝবেন এটি আসলেই একটি কবরস্থান। মৃতদেহের পাশেই খাবার খাওয়া নাকি পুণ্যের কাজ। এই ধারণা থেকেই কবরখানার পাশে রেস্টুরেন্টটি খোলেন সেখানকার মালিক কৃষ্ণণ কুট্টি। সপ্তদশ শতকের মৃত মানুষদের কবরের ঠিক পাশেই এই রেস্টুরেন্ট। কবরগুলো রেলিং দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন তিনি। টেবিল চেয়ার পাতা আছে তার পাশেই। সেখানকার পালক পনির খুবই বিখ্যাত।

ফোর্টিজা মেডিসিয়া, ইতালি
২০০৭ সালে ইতালির মোর্টিজা মেডিসিয়া রেস্টুরেন্টটি যাত্রা শুরু করে। সেখানকার বিখ্যাত লা ফোর্তিজা বা দ্য ফোর্টিসে অবস্থিত রেস্টুরেন্টটি। এটি ইউরোপের একটি প্রাচীন দুর্গ। এর নির্মাণকাল ১৪৭৪। বর্তমানে দুর্গটি ব্যবহৃত হচ্ছে একটি কারাগার হিসেবে। অবাক করা বিষয় হলো, কারাগারের বন্দিরাই রেস্টুরেন্টটি চালান। তারাই খাবার তৈরি করেন। নিরাপত্তার খাতিরে সেখানে প্লাস্টিকের থালা বাসন ব্যবহার করা হয়। খাবার পরিবেশনও করেন বন্দিরা। খাবার জায়গায় তারা পিয়ানো বাজিয়ে গান শোনান। এই রেস্টুরেন্টটি এতোটাই জনপ্রিয় যে, অন্তত এক সপ্তাহ আগে বুক না করলে জায়গা পাওয়া মুশকিল।

নাওতাইমোরি, টোকিও, জাপান
অদ্ভুত এক রেস্টুরেন্ট আছে জাপানে। রাজধানী টোকিওর নাওতাইনোরিতে রেস্টুরেন্টটি অবস্থিত। যেটি বিশ্ব বিখ্যাত। সেখানে নগ্ন নারীর শরীরের উপর খাবার পরিবেশন করা হয়। তবে আসল নারী নয় বরং নানা রকম খাবার সাজিয়ে নারীমূর্তি তৈরি করা হয়। নির্দিষ্ট ছুরি কাঁটা দিয়েই সেই নকল শরীরটি কাটতে হয়। শরীর থেকে খাবার কেটে নিলেই তার ভিতর থেকে রক্ত পড়ে। অর্থাৎ সেটিও আসলে নকল রক্ত। ছিন্নভিন্ন শরীরের পাশেই তার ভিতরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো সাজানো থাকে। সেগুলোও একেকটি খাবার। বিষয়টি নকল হলেও সত্যিই ভয়ানক।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy