চড়ুই পাখির ডাকের সঙ্গে আমরা সবাই বেশ পরিচিত। সম্প্রতি মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে চড়ুই পাখির ডাক সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য।
জানা গিয়েছে যে একজন পুরুষ চড়ুই পাখি, নারী চড়ুই পাখিকে কাছে আনার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করে থাকে। একটি পুরুষ চড়ুই পাখি একটানা প্রায় ৩০ মিনিট একই ধরনের গান করতে থাকে। সেই সময় জুড়ে একজন পুরুষ চড়ুই পাখি প্রায় ১২টি ভিন্ন ধরনের গান করে। প্রতিটি গান প্রায় ২ সেকেন্ডের হয়। এরপর সেই গান আবার রিপিট করে পুরুষ চড়ুই। বহুদিন ধরে চড়ুই পাখির উপরে গবেষণা করার পরে উঠে আসে এমন তথ্য।
সম্প্রতি চড়ুই পাখিদের ডাক সম্পর্কে যে নতুন নতুন বিষয় জানা গিয়েছে, সেই গবেষণার প্রধান রিসার্চার হলেন স্টিফেন নোভিকি। তিনি ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োলজির অধ্যাপক। এছাড়াও এই গবেষণায় তাকে সাহায্য করেছেন মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা। সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, একজন পুরুষ চড়ুই পাখি পরপর ১২টি ভিন্ন ধরনের গান করে একটানা প্রায় ৩০ মিনিট। এরপর সেই পুরুষ চড়ুই পাখি আবার বদলে ফেলে তার গান।
জানা গেছে যে, একজন পুরুষ চড়ুই পাখি, নারী চড়ুই পাখিকে কাছে আনার জন্য এই ধরনের গান করে। এছাড়াও নারী চড়ুই পাখিকে কাছে আনার জন্য তারা বদলে দেয় তাদের গান। এভাবেই চড়ুই পাখিরা নিজেদের মনের ভাব আদানপ্রদান করে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে যে সেই গবেষণায় উত্তর-পশ্চিম পেনসিলভানিয়া এর জঙ্গলে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চড়ুই পাখিদের ডাক রেকর্ড করা হয়। এভাবে প্রায় ৩০।টি চড়ুই পাখির ডাক রেকর্ড করা হয়। এরপর চড়ুই পাখির ডাক বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানিয়েছেন এই তথ্য। আমরা যা চড়ুই পাখির কিচিরমিচির বলে থাকি, সেটি হলো তাদের মনের ভাষা প্রকাশ করার গান। নিজেদের মনের কথা বোঝানোর জন্য তারা এই ধরনের উপায় অবলম্বন করে থাকে। নারী চড়ুই পাখিকে কাছে আনার জন্য পুরুষ চড়ুই পাখির অভিনব উপায় হতবাক করেছে সবাইকে।