বিশেষ: পেঁয়াজের বীজ চাষ করেই কোটিপতি বাঙালি মহিলা,জেনেনিন তার সাফল্যের কাহিনী

পেঁয়াজের বীজ চাষ করে কোটিপতি এই মহিলা – অনেকটা শখের বশেই ২০০৪ সালে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন শুরু করেছিলেন ফরিদপুর জেলার সাহিদা বেগম। তবে প্রায় ১৬ বছরের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজের বীজ চাষ করেই সাহিদা বেগম এখন হয়ে উঠেছেন আত্মনির্ভরশীল।

পেঁয়াজের বীহ বিক্রি করে বছরে আয় করছেন কোটি টাকা। সাহিদা বেগম জানান, ২০০৪ সালে মাত্র ২০ শতক জমিতে পেঁয়াজের চাষ শুরু করেন তিনি। সে বছর উৎপাদন করেছিলেন মাত্র দুই মন বীজ। আর সেগুলো বিক্রি করে পেয়েছিলেন ৮০ হাজার টাকা। এরপরই পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনে আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। পরের বছর আরো বেশি পরিমাণ জমিতে পেয়াজের চাষ করে পান ১৩ মণ বীজ। এভাবেই ধীরে ধীরে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি করতো থাকেন সাহিদা বেগম। এরপর গত বছর তিনি ১৫ একর আর চলতি বছর ৩০ একর জমিতে পেঁয়াজের বীজের চাষ করে ঘরে তুলেছেন ২০০ মন বীজ। সাহিদা বেগম জানান, মৌসুমে এই বীজ মণ প্রতি ২ লাখ টাকা করে দাম পেয়েছেন। এছাড়া কৃষি তথ্য সার্ভিসের তথ্য থেকে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি পেঁয়াজের বীজ বিক্রি হয়েছে ৫-৬ হাজার টাকা দরে। সে হিসেবে সাহিদা বেগম চলতি বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকার বীজ বিক্রি করেছেন। বীজের চাহিদার কথা উল্লেখ করে সাহিদা জানান, তাদের বীজের মান ভালো হওয়ায় কৃষকদের মাঝে এই বীজের চাহিদা বেশি। তিনি বলেন, “আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি জমিতে পেঁয়াজের বীজের চাষ করলেও

অনেক সময় চাহিদা পূরণ করতে পারেন না । এমনকি বীজের এত চাহিদা যে, এবছর আরো ৫০০ মণ বীজ থাকলেও বিক্রি করতে পারতাম।” সাহিদা বেগমের পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনেরকাজে সহায়তা করেন তার স্বামী বক্তার উদ্দিন খানও। যিনি পেশায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তাসাহিদা বলেন, এ বছর এরই মধ্যে বীজ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। বাছাই করার পর পেঁয়াজের বাল্ব জমিতে লাগাতে মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাজ করছে ১২ জন শ্রমিক। বীজ উৎপাদনের জন্য যে পেঁয়াজ এখন লাগানো হচ্ছে তার ফলন আসবে আগামী এপ্রিল-মে মাসে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy