পুরাণ অনুযায়ী, সূর্যদেবের যমজ সন্তান ছিলেন যম ও যমুনা। বড় হওয়ার পর তারা দুজনে দুই দিকে চলে যান এবং অনেক দিন পর্যন্ত দেখা হয়নি।ভাইকে না দেখে যমুনা খুব মন খারাপ করে ফেলেন। তিনি যমকে মর্ত্যে আসার জন্য অনুরোধ করেন।
যমুনার আহ্বান পেয়ে যম মর্ত্যে আসেন। যমুনা তাঁর ভাইকে খুব আদরে আপ্যায়ন করেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, লুচি, পায়েস দিয়ে যমকে খাওয়ান।
যমুনা ভাইয়ের দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রার্থনা করেন এবং তাঁর কপালে ফোঁটা দেন। এই ঘটনাকে স্মরণ করেই প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা উৎসব পালিত হয়। যমও প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি প্রতি বছর এই দিনে মর্ত্যে আসবেন।
ভাইফোঁটার তাৎপর্য:
ভাই-বোনের মধ্যে ভালোবাসা ও আস্থার প্রতীক।
ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা।
পরিবারের একতা ও সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝায়।
ভাইফোঁটা উৎসবের মূল কাহিনীতে যম ও যমুনার ভালোবাসা এবং তাদের মিলনের কথা বলা হয়। এই উৎসব ভাই-বোনের মধ্যে ভালোবাসা ও আস্থার প্রতীক।