
দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সম্ভাব্য লঘুচাপ শুক্রবার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে সৃষ্টি হতে পারে বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’। এটি বাংলাদেশেও আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। নতুন সৃষ্টি হওয়া এই সাইক্লোনটির নামকরণ নিয়ে এরই মধ্যে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগছে।
আসানি শব্দটির অর্থ – ‘সহজভাবে’। কিন্তু এই অশনি বা আসানি এর অর্থ বজ্র। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামটি রেখেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা।
১৯৫৩ সালে আটলান্টিক অঞ্চলে এক চুক্তির মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। ভারত মহাসাগর এলাকায় এর প্রচলন শুরু হয় ২০০৪ সালে। কোনো ঝড়ের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৩৯ মাইল হয়, তাহলে তাকে একটি নাম দেওয়া হয়। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়া অফিসগুলো এই নামকরণের দায়িত্ব পালন করে থাকে।
কোনো ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করতে সদস্য দেশগুলো তাদের পক্ষ থেকে একটি তালিকা দেয়। এরপর তাদের দেওয়া নামগুলো বর্ণনানুক্রমে সাজানো হয়। ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়ার কারণও বেশ সহজ। এগুলোর এমন নাম দেওয়া হয় যেন বিজ্ঞানী থেকে সাধারণ মানুষ সহজে মনে রাখতে পারে।
আর এই তালিকা থেকে একটির পর একটি ঝড়ের নামকরণ করা হয়। এই ক্রম এমনভাবে সাজানো হয় যেন প্রত্যেকবার ভিন্ন দেশের দেওয়া নাম সামনে আসে।
এর পর থাইল্যান্ডের ‘সিত্রং’, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘মেস’ এবং ইয়েমেন থেকে ‘মােচা’- নামকরণ করা হয়েছে।