উদীয়মান স্পেস কোম্পানি ‘অ্যাস্ট্র্যা’র রকেট ব্যর্থতায় দুটি আবহাওয়া স্যাটেলাইট হারিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের গতিবিধির ওপর নজর রাখার কথা ছিল স্যাটেলাইট দুটির।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ জানিয়েছে, নাসার স্যাটেলাইট দুটি মহাকাশে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল অ্যাস্ট্যা রকেটের। কিন্তু উড্ডয়নের কিছু সময় পরেই আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় রকেটের দ্বিতীয় স্তরের ইঞ্জিন।
ফ্লোরিয়ার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে ‘লঞ্চ ভেহিকল ০০১০ (এলভি ০০১০)’ লঞ্চ করেছিল অ্যাস্ট্রা। উড্ডয়নের ১০ মিনিটের মাথায় দেখা দেয় ইঞ্জিন জটিলতা।
ছয়টি ‘ট্রপিক্স’ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে নাসা। এর দুটি স্যাটেলাইট বহন করছিল রকেটটি।
‘কিউবস্যাট’ নামে পরিচিত আকারে ছোট ছয়টি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের গঠন ও গতিবিধির ওপর নজর রাখার পরিকল্পনা করেছিল নাসা। খরচ কম হওয়ায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা হরহামেশাই ‘কিউবস্যাট’ নির্মাণ করেন।
দুর্ঘটনার পরে অ্যাস্ট্রা টুইট করেছে, “উপরের স্তরের (ইঞ্জিন) আগেভাগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং আমরা পেলোড কক্ষপথে পৌঁছে দিতে পারিনি। নাসা এবং পেলোড নির্মাতাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি আমরা।”
টুইটারে ব্যর্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসার বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী ব্যবস্থাপক টমাস জারবাখেন। তবে, অ্যাস্ট্রা নিয়ে তিনি এখনও আশবাদী বলে জানিয়েছেন ওই টুইটার থ্রেডে।
নাসা বাকি চারটি ট্রপিক্স স্যাটেলাইট অ্যাস্ট্রার মাধ্যমে মহাকাশে পাঠাবে কি না এবং ধ্বংস হয়ে যাওয়া স্যাটেলাইটগুলোর জায়গায় নতুন স্যাটেলাইট বিষয়ে সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটি এখনও অস্পষ্ট বলে জানিয়েছে ভার্জ।
সাইটটি নাসার সঙ্গে যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর পায়নি।
মহাকাশে কিউবস্যাট পাঠাতে নাসা অ্যাস্ট্রার সঙ্গে জোট বেঁধেছে ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু রকেটটি উড্ডয়নের পরপরই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় নাসার পেলোড হারায় স্পেস কোম্পানিটি।
এখন পর্যন্ত মহাকাশ মিশনের সাতবারের চেষ্টায় দু’বার সফল হয়েছে অ্যাস্ট্রা। গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো মহাকাশে পৌঁছাতে পেরেছিল অ্যাস্ট্রা। তবে, রকেটের গাইডেন্স সিস্টেম এবং ইঞ্জিন জটিলতার কারণে বারবারই বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।