ঋতু বদলের সময় জ্বর-সর্দি-কাশির-গলাব্যথার মতো উপসর্গগুলো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম তাদের এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষায় বাতাসে দানা বাঁধে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। এ কারণে এই সময় ঠান্ডা লাগা, গলা খুসখুস, কাশি, জ্বর হওয়াটা স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু সমাধানের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। যেমন-
আদা চা : সর্দি-কাশি বা জ্বরের সমস্যা দূর করতে আদা-চা খুব কার্যকরী। এই চায়ের মধ্যে কিছুটা মধু ও লেবু যোগ করুন। শরীরকে গরম রাখতে ও সর্দি-কাশিতে দূর করতে এটিও বিশেষ উপকারী।
ভেপার : বড় চাদর দিয়ে কান, গলা, মাথা ঢেকে নিন। এর পর গরম জলের ভাপ নিন। গরম জলে ব্যাকটিরিয়া নিরোধক কিছু ওষুধও ফেলতে পারেন। অনেকে ক্যামোমাইল বা ইউক্যালিপটাস তেল এর মধ্যে যোগ করে নেন। ভাপ নিলে পোস্ট নেজাল ড্রিপিং কমবে, ফলে কাশিও কমতে। ভাপ নেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেন ফ্যান বন্ধ থাকে। ভাপ নেওয়ার পরেও মিনিট দশেক ফ্যানের নিচে থাকবেন না।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার : গলার মিউকাসকে ভাঙতে ও সেই সঙ্গে ব্যাকটিরিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে আপেল সিডার ভিনেগার খুবই উপকারী । সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে প্রতিদিন হালকা গরম জলে ২ চামচ আপেল সিডার যোগ করে খালি পেটে খান। এতে ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাবেন।
মধু : প্রতি দিন ঘুমানোর আগে পাস্তুরাইজড মধু খেতে পারেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। কেউ কেউ হালকা গরম জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। কাশি কমাতে ও ঠান্ডার প্রকোপ থেকে দূরে রাখতে মধু খুব কার্যকর।