অনেক মানুষই বয়সের সাথে সাথে তাদের বিমা পলিসি কীভাবে পরিবর্তন করবেন তা নিয়ে বিভ্রান্ত থাকেন। এই প্রতিবেদনে আমরা বয়সের সাথে সাথে বিমা পলিসি পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা করব।
বয়স অনুযায়ী বিমা পলিসি:
২০ থেকে ২৫ বছর:
এই বয়সে তরুণ-তরুণীরা তাদের কর্মজীবন শুরু করেন। তাই এই সময় স্বাস্থ্য বিমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কর্মজীবনের শুরুতে ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বা শারীরিক অক্ষমতা সংক্রান্ত বিমা করা উচিত।যারা গাড়ি বা বাইক চালান তাদের অবশ্যই যানবাহন বিমা করতে হবে।মেয়াদি আমানত (টার্ম ইনস্যুরেন্স) বিবেচনা করা যেতে পারে।
২৫ থেকে ৪০ বছর:
এই সময় অধিকাংশ মানুষ বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন।এই সময় শুধুমাত্র গোটা পরিবারের স্বাস্থ্য বিমার দিকে নজর দিলে চলবে না।
মেয়াদি আমানতেও লগ্নি করা উচিত।সন্তানের জন্ম হলে তাদের জন্যও বিমা করার কথা ভাবতে হবে।
৪৫ থেকে ৫৫ বছর:
এই সময় অনেকেই ঋণ নিয়ে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনে থাকেন।এই ঋণ পরিশোধের জন্য বিমার পরিকল্পনা করা যেতে পারে।সন্তানের উচ্চশিক্ষার খরচ মেটানোর জন্য টার্ম ইনস্যুরেন্স চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৫৫ বছরের পর:
অবসরের পর আয়ের পরিমাণ কমে যায়।তাই এই সময় স্বাস্থ্য বিমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।দীর্ঘমেয়াদী যত্ন বিমা (Long-term care insurance) বিবেচনা করা যেতে পারে।
বয়সের সাথে সাথে আমাদের চাহিদা ও পরিস্থিতিও পরিবর্তিত হয়। তাই বয়সের সাথে সাথে আমাদের বিমা পলিসিও পরিবর্তন করা উচিত। নিয়মিতভাবে বিমা পলিসি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে পরিবর্তন আনলে আমরা আমাদের জীবনে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব।