শোবিজ দুনিয়ার নায়িকা মানেই সুন্দরী, আর সুন্দরী মানেই তাকে হতে হবে ফর্সা, ধবধবে সাদা- এ যেন এক অলিখিত নিয়ম। গায়ের রং কালো নাকি সাদা বিবেচনা করে নারীর শ্রেষ্ঠত্ব বিচার করা বর্ণবাদী মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ। তা সত্ত্বেও বলিউড অভিনেত্রী এশা গুপ্তা এমন মানসিকতার শিকার হয়েছিলেন। সম্প্রতি বিষয়টি ফাঁস করেছেন তিনি।
এশা জানিয়েছেন ফর্সা হতে ইনজেকশন নেওয়ার উপদেশ দেওয়া হয়েছিল তাকে, সে সময় ফর্সা হওয়ার ইনজেকশনের দাম কত? সেই খোঁজও নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
এক এশা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে আমাকে নিজের নাকটা আরও টিকালো করতে বলা হয়েছিল। লোকে বলত আমার নাকটা নাকি বড্ড গোল। তার আগে আমাকে এমনও উপদেশ দিত যে আমার উচিত ফর্সা হতে ইনজেকশন নেওয়া। আমি তো কিছু সময়ের জন্য তাদের কথায় কানও দিয়েছিলাম। খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম সেই ইনজেকশনের দাম ৯ হাজার টাকা। আমাদের বলিউডের অনেক নায়িকাই সেগুলো ব্যবহার করে, আমি নাম বলব না।’
তিনি আরও জানান, ‘অভিনেত্রীদের সুন্দর দেখতে লাগতে হবে, এই চাপটা সবসময় থাকে। কোনওদিন চাইব না আমার মেয়ে অভিনেত্রী হোক, তাহলে ছোট বয়স থেকে এই মানসিক চাপ ওকে সহ্য করতে হবে।’
বড় পর্দায় এশাকে শেষবার দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালে। সে বছর ‘টোটাল ধামাল’ এবং ‘ওয়ান ডে জাস্টিস ডেলিভারড’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর ‘নাকাব’, ‘রিজেক্ট এক্স’, ‘আশ্রম’-এর মতো ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন এই তারকা। খুব শিগগিরই ফিরছে ববি দেওলের আশ্রমের চার নম্বর সিজন, এই সিজনেরও অংশ থাকছেন এশা।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ‘জান্নাত ২’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটে এশার। এরপর প্রকাশ ঝা-র ‘চক্রব্যুহ’ সিনেমায় কাজ প্রশংসিত হন। পরবর্তীতে একে একে ‘রাজ থ্রিডি’, ‘রুস্তম’, ‘বাদশাহ’র মতো সিনেমায় দেখা যায় তাকে।