
প্রেমে পড়ার টিপিকাল লক্ষণগুলো জানেন? সারাক্ষণ মনের মধ্যে একটা ফুরফুরে উড়ুউড়ু ভাব, সাজগোজের ব্যাপারে একটু বেশিই যত্ন! আর ভালো লাগার মানুষটিকে দেখামাত্র বুকের মধ্যে হামানদিস্তা! কিন্তু শুধু এটুকুতেই প্রেমের মাহাত্ম্য শেষ হচ্ছে না! কাউকে ভালোবাসলে আপনার শরীরে আরও কিছু পরিবর্তন হয় যা আপনাকে সুস্থ আর সতেজ থাকতে সাহায্য করে। একবার চোখ বুলিয়ে নিন প্রেমের উপকারিতায়, আর মন দিয়ে সমানে প্রেম করা চালিয়ে যান!
ব্যথার দাওয়াই
প্রেমের ব্যথা এমন যে তার সামনে আর সব ব্যথা ম্লান! না, ঠিক সে কথা বলছি না। সত্যি সত্যিই প্রেমের মধ্যে ব্যথা কমানোর উপাদান আছে। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিনের এক গবেষণায় জানা গেছে, ব্যথা কমানোর ওষুধে মস্তিষ্কের যে অংশটি উদ্দীপ্ত হয়, প্রেমে পড়লেও সেই একই অংশ চনমনে হয়ে ওঠে। কাজেই পরেরবার মাথা ধরলে আনতাবড়ি পেনকিলার না খেয়ে বরং একটু প্রেমে পড়ার চেষ্টা করে দেখুন!
আয় ঘুম আয়
অনেকেই হাঁ হাঁ করে উঠে বলবেন প্রেমে পড়ার পর কত রাত তাঁরা জেগে কাটিয়েছেন। হ্যাঁ, প্রেমে পড়ার প্রথমদিকে সারা রাত জেগে জেগে প্রেমিকের স্বপ্ন দেখাই যায়, কিন্তু কিছুদিন গড়ালে ফের স্লিপ সাইকল একদম স্বাভাবিক হয়ে আসে। ফলে সেই সময় নিশ্ছিদ্র শান্তির ঘুম ঘুমোতে পারেন আপনি।
উর্ধ্বমুখী কর্টিসল
পরিশ্রম বা মানসিক উত্তেজনার কোনও কাজ করলে শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি একধরনের স্ট্রেস হরমোন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রেমে পড়ছি পড়ছি ভাব হলে বা সত্যিই প্রেমে পড়ার প্রথমদিকে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা একইভাবে বেড়ে যায়। মানসিক চাপের সব লক্ষণই তখন দেখা যায়। আর প্রেম মানেই যে চাপের ব্যাপার, আপনার চেয়ে সেটা আর কে ভালো জানে বলুন!
খিদে কমে যায়
আপনার যদি সারাদিন ধরে উলটোপালটা খাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে, তা হলে প্রেমই আপনার একমাত্র ওষুধ। নতুন প্রেমে পড়লে মস্তিষ্কে ডোপামাইন নামে একটি নিউরোট্রান্সমিটার অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেই ডোপামাইনের বশে আপনার মাথায় সারাক্ষণ প্রেমিকের চিন্তাই ঘুরতে থাকে, খাওয়াদাওয়ার কথা মনেও থাকে না! বিঞ্জ ইটিং থেকে বাঁচতে এর চেয়ে ভালো দাওয়াই আর হয় নাকি!