
একের পর এক সম্পর্কে জড়াচ্ছেন, প্রতিবারই ভাবছেন এবারের সম্পর্কটা অমন মাঝপথে ভেঙে যাবে না নিশ্চয়ই! অথচ ফের কিছু বছর গড়াতে না গড়াতেই পথ আলাদা হয়ে যাচ্ছে দু’জনের, ফের সেই হার্টব্রেক, ফের চোখের জল সহ্য করতে হচ্ছে আপনাকে! এমন পরিস্থিতি যে সব মেয়ের জীবনে বারবার আসে, তাঁরা বুঝতে পারেন না ঠিক কী কারণে ক্রমাগত সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে তাঁদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষটিকে দায়ী করা হয়, অথবা মনে করা হয় সম্পর্কটাতে আদৌ কমপ্যাটিবিলিটি ছিলই না!
সত্যিই কি তাই? কমপ্যাটিবিলিটির অভাব, নাকি অন্য কিছু? আসলে আপনিই সব ঝামেলার মূলে নন তো? সাধারণত যে কোনও সমস্যায় আমরা নিজেদের দোষ দেখতে পাই না, অপরপক্ষেরই দোষ দেখি, তা এ ক্ষেত্রেও তেমনই কিছু ঘটছে না তো? আসলে খোলা মনে যদি নিরপেক্ষভাবে সবটা খতিয়ে দেখতে পারেন, তা হলে ভবিষ্যতে সম্পর্কের খিঁচগুলোও এড়িয়ে চলতে পারবেন।
আপনার প্রেমের সম্পর্ক আপনার কারণেই টিকছে না কিনা জানতে চান? দেখুন তো নিচের কারণগুলো উপস্থিত আছে কিনা!
খামখেয়াল
আপনার মনমেজাজের কি কোনও ঠিকঠিকানা থাকে না? এই ভালো মেজাজ, তো ওই তিরিক্ষি হয়ে যান? আপনার মনের হদিশ পেতে নাজেহাল হয়ে যেতে হয় সঙ্গীকে? সে ক্ষেত্রে কিন্তু একটা সময়ের পর আপনার সঙ্গী নিজের মধ্যে গুটিয়ে যাবেন এবং তারপর সম্পর্কটা বাঁচিয়ে রাখা নিয়েও খুব একটা উৎসাহ দেখাবেন না।
একবগগা মনোভাব
জেদ ধরে থাকলে যে কোনও সম্পর্কেই সমস্যা দেখা দেয়, আর প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া তো মোটেই আশ্চর্যের নয়! একটু ভেবে দেখুন তো, যে কোনও ছোটখাটো বিষয়েও কি আপনি নিজের মতেই অনড় থাকেন? আপনার সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হবে, এমন জেদ করেন কি? তেমন হলে কিন্তু আপনার পক্ষে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন!
অতিরিক্ত গোপনীয়তা
আপনি কি নিজের সমস্ত বিষয় লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন? এমনকী, যে সব কথা স্বামী/সঙ্গীকে জানানো দরকার, সে সবও জানান না? কোনও জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে স্বামীকে অন্ধকারে রেখে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন? আপনার সম্পর্ক কেন টিকছে না, সেটা কি এর পরেও ব্যাখ্যা করতে হবে?