প্রিয় মানুষটি ‘মাইক্রো চিটিং’ করছে না তো! বুঝেনিন এসব লক্ষণে

সম্পর্ক ভাঙার সবচেয়ে বড় কারণ হলো প্রতারণা। কারণ একবার বিশ্বাস নষ্ট হলে ভালোবাসার ভিত্তিটাই নড়বড়ে হয়ে যায়। তখন শত চেষ্টা করেও সম্পর্কটি আর আগের মতো করা যায় না। তবে কিছু আচরণ আছে যেগুলোকে ঠিক প্রতারণা বলা যায় না, তবে অনেকটা প্রতারণার মতোই। ইংরেজিতে বলা হয় ‘মাইক্রো চিটিং’, বাংলায় বললে অণু-প্রতারণা। চলুন তবে আচরণগুলো মিলিয়ে দেখা যাক-

মাইক্রো চিটিংয়ের একেবারে প্রথম স্তর হলো প্রাক্তন সঙ্গীর প্রোফাইলে গিয়ে উঁকি দেয়া কিংবা ইচ্ছে হলেই লাইক-কমেন্ট করা। খালি চোখে দেখতে গেলে এটি একেবারেই নিরীহ চিটিং। কিন্তু অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেলে প্রাক্তন সম্পর্কে কৌতূহল বাড়ে এবং সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।

সম্পর্কের গতি সবসময় একইরকম থাকে না। মাঝেমাঝেই ভাটা পড়ে। তৈরি হয় শূন্যস্থান। এই শূন্যস্থানে তখনই প্রবেশ করে অন্য মানুষ। এই অবস্থাকে প্রশ্রয় দেয়াটাও মাইক্রো চিটিং। তাই এই সময়ে বন্ধুর মতো আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করুন।

আপনার অজান্তেই অন্যদের কাছে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করছেন আপনার সঙ্গী? কিংবা নিজেকে সিঙেল দাবি করছেন? তাহলে এটি মাইক্রো চিটিংয়ের পর্যায়ে পড়ে। তবে দুজনে পারস্পরিক সমঝোতা করে যদি সম্পর্কের কথা গোপন করে, সেক্ষেত্রে তাকে প্রতারণা বলা যায় না।

সম্পর্কে মন কষাকষি চলছে। ঠিক সেই মুহূর্তে প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কাছ থেকে মানসিক সমর্থন নেয়াটাও মাইক্রোচিটিং।

একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে আবার অন্য মানুষকে মনে ধরেছে- এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু গা ভাসিয়ে দিলেই মুশকিল। নতুন পছন্দের মানুষটির উপস্থিতিতে সঙ্গীর ফোন না ধরাটাও মাইক্রো চিটিংয়েরই লক্ষণ।TS

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy