প্রথম ছবিতে বন্ধুত্ব, আবারও পর্দায় টাইগার-তারা

বলিউডের অ্যাকশন হিরো টাইগার শ্রফের সঙ্গে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তারা সুতারিয়া। করণ জোহরের স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার টু দিয়ে শুরু হয় তাঁর পথচলা। টাইগারের নায়িকা হিসেবে তাঁকে আবারও দেখা যাবে হিরোপন্তি টুতে। হিরোপন্তির সিক্যুইলের প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা।

সাজিদের অফিসে তারার সঙ্গে জমে আড্ডা। শুরুতেই উঠে আসে ক্যারিয়ারের প্রথম নায়ক টাইগারের কথা। আবারও তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধতে কতটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন তিনি। প্রথম আলোকে তারা সুতারিয়া বলেন, ‘প্রথম ছবিতে কাজ করেছিলাম বলে আমাদের বিশেষ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। অনন্যাও ওই ছবিতে ছিল। আমরা তিনজনই ভালো বন্ধু হয়ে যাই। আমার আর টাইগারের বন্ধুত্ব চার বছরের বেশি। আর আমি জানি আমার কোনো বিপদে টাইগারকে আমার পাশে পাব। আমাদের পছন্দেরও মিল রয়েছে। দুজনই গান গাইতে ভালোবাসি। আর টাইগার সেটে সবাইকে মাতিয়ে রাখত। তাই টাইগারের সঙ্গে এই ছবিতে কাজ করা আরও সহজ হয়ে উঠেছিল। আমি সত্যিই লাকি যে, টাইগারের মতো বন্ধু পেয়েছি। টাইগার আমার জন্য অত্যন্ত বিশেষ।’

হিরোপন্তি টু ছবির মূল চরিত্রে আছেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। নওয়াজের মতো প্রভাবশালী অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে দারুণ উৎফুল্ল তারা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অবশেষে আমি নওয়াজ স্যারের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এ ছবিতে তাঁর সঙ্গে আমার একটি বিশেষ ঘটনা আছে, যা ট্রেলারে দেখানো হয়নি। আসলে নওয়াজ স্যার সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল, তিনি গুরুগম্ভীর প্রকৃতির মানুষ। কিন্তু শুটিংয়ের সময় আমার সেই ধারণা ভেঙেছিল। নওয়াজ স্যার নিজের কাজ নিয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস। তবে হাসিখুশি আর মিষ্টি স্বভাবের মানুষ। তাঁর ব্যবহারে কখনোই মনে হয়নি যে তিনি এত বড় অভিনেতা। সেটে কম কথা বলে সবাইকে পর্যবেক্ষণ করা আমি নওয়াজ স্যারের কাছ থেকেই শিখেছি। আর একজন অভিনেতার জন্য এটা জরুরি।’

হিরোপন্তি টু ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন এ আর রাহমান। খ্যাতিমান এই সংগীত পরিচালকের সঙ্গে কৈশোরের এক সুন্দর স্মৃতি আছে তারার।

স্মৃতির ঝাঁপি থেকে এই বলিউড অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রথমবার আমি যখন রাহমান স্যারের সঙ্গে দেখা করি, তখন আমার বয়স ১৩। দক্ষিণ মুম্বাইয়ের এনসিপিএতে আমি একটা কনসার্ট করেছিলাম। আর সেই সময় তিনি ব্যাক স্টেজে ছিলেন। রাহমান স্যারের সঙ্গে তখন আমার কথা হয়। তিনি আমার গান শুনেছিলেন। তাঁর গান আমি গেয়েছিলাম। হিরোপন্তি টু ছবির সময় রাহমান স্যারের সঙ্গে আমার আবারও দেখা। দেখা হতেই আমি তাঁকে হ্যালো স্যার বলি। তখন রাহমান স্যার বলেন, আমি তোমাকে আগে দেখেছি, তখন তোমার বয়স ১৩ হবে। তাঁর মুখে এই কথা শুনে আমার দারুণ আনন্দ হয়েছিল। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে রাহমান স্যারের মতো ব্যক্তিত্ব আমাকে মনে রাখবেন। তাঁর খ্যাতি জগৎ জোড়া। প্রতে৵ক সংগীতপ্রেমী রাহমান স্যারের ভক্ত। এই ছবিতে গান গাওয়ার কথাও তিনি আমাকে বলেছিলেন।’

তারাকে শেষবার পর্দায় দেখা গেছে তড়প ছবিতে। ওই ছবিতে তিনি ‘ধূসর’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এ নিয়ে তারা বলেন, ‘সব ধরনের চরিত্রে কাজ করার আলাদা মজা। চ্যালেঞ্জিং বা ধূসর চরিত্রে কাজ করার অন্য এক রকম মজা আছে। আসলে আমি মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করতাম। আজও মঞ্চ আমার পছন্দের জায়গা। আমার বন্ধুরা জুহু পিভআর-এ সিনেমা দেখতে যায়। আর আমি পৃথ্বী থিয়েটারে নাটক দেখতে যাই। আমি মঞ্চের মেয়ে বলে অভিনয়ের প্রতিটা অধ্যায় উপভোগের সুযোগ পেয়েছি। তাই যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে আমার অসুবিধা হয় না। প্রতিটা মানুষের মধ্যে ধূসর এক ব্যক্তিত্ব লুকিয়ে থাকে। তাহলে ধূসর চরিত্রে কাজ করতে আপত্তি কোথায়।’

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy