
মঙ্গলবার (৩১ মে) নজরুল মঞ্চের কেকে-র লাইভ অনুষ্ঠানের একাধিক ভিডিওতে ধরা পড়েছে এমন দৃশ্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই বলছেন, মঞ্চে বারবার ঘামছিলেন শিল্পী। তবে কি অনুষ্ঠানের সময়েই অসুস্থ বোধ করছিলেন? তেমন করে গুরুত্ব দেননি? কেকে-র মৃত্যুর পর ওঠছে এমন সব প্রশ্ন।
অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত কেকে ছিলেন অত্যন্ত চনমনে। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মঞ্চের এপাশ থেকে ওপাশ। কিন্তু বার বার চলে যাচ্ছিলেন মঞ্চের পেছনের অংশে নিচু টেবিলে রাখা রুমাল ও জলেরর বোতলের দিকে। জল খাচ্ছেন আর পরের গান গাইছেন।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, টেবিল থেকে তুলে নেওয়া রুমালে মুখ মুছে, মাথার চুলে আঙুল চালিয়ে গান শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। পাশ থেকে মঞ্চে থাকা একজন হিন্দিতে বলে ওঠলেন, ‘ভীষণ গরম। ’ শিল্পী তার দিকে তাকিয়ে হেসে সম্মতি দিলেন যেন। তার পর একজনকে হাতের ইশারায় মঞ্চের ওপরের আলোগুলো দেখিয়ে বললেন, ‘নিভিয়ে দাও। ’ তার পর ফের গান শুরু। নজরুল মঞ্চে উপস্থিত দর্শক তখন কেকে-র গানে মাতোয়ারা।
আর এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমনজরুল মঞ্চে বলিউড গায়ক কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে-র অনুষ্ঠানে আসনসংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি লোকজন ঢুকেছিল। কেকে-র মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কার্যত স্বীকার করে নিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রেক্ষাগৃহটিতে অতিরিক্ত ভিড় থাকায় ‘পরিস্থিতি বিগড়ে’ গিয়ে থাকতে পারে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, প্রেক্ষাগৃহে ক্যাপাসিটি-র (আসনসংখ্যার) থেকে বেশি লোক ছিল।
মানুষের উচ্ছ্বাস আটকানো যায়নি। তবে এসি ঠিক ছিল।
ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, কেএমডিএ-র পক্ষ থেকে ওই কলেজের অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এ ধরনের অনুষ্ঠানে আসন নষ্ট হয়ে যায় বলে ওখানকার কর্তৃপক্ষ বলেছেন। তবে নজরুল মঞ্চের এসি যথেষ্ট ভালো। কিন্তু দরজা বার বার খুললে অসুবিধা হয়। তবে দুই হাজার ৭০০ ক্যাপাসিটির এসি, সেটা সাত হাজার হলে তো মানুষের গরম লাগবেই।