“পুলিশ সব জানতো?”- ফের বাংলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৪

আবারও অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, আর তাতে প্রাণ গেলো চারজনের। সবার ঝলসানো দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী এবং একজন পুরুষ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের নদীয়া জেলার কল্যাণী পৌরসভার অন্তর্গত ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায়। ঘটনার পরপরই সেখানে উপস্থিত হয় কল্যাণী থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী।

জানা যায়, রথতলা অঞ্চলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেআইনি বাজি তৈরি করা হতো। শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় একটি বাজি কারখানায় হঠাৎ প্রবল শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় কারখানাটিতে কয়েকজন কর্মচারী কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণে তারা অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঝলসে যান এবং গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে কল্যাণী জহরলাল নেহরু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন, বাকিদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কল্যাণী থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকেও। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

কল্যাণী পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, বাজি থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে কি না জানি না, তবে বড় বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি শুনেছি। এখানে কেন বাজি কারখানা চলছিল, তা প্রশাসন বলতে পারবে। তবে ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রাণগোপাল দাস বলেন, প্রশাসন থাকতেও এখানে কীভাবে বাজি কারখানা চলতো, তা বলা কঠিন। আমার ভাগ্নি এই কারখানায় কাজ করতো, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, পুলিশ সব জানতো। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যখন কিছু ঘটে যায়, তখন ব্যবস্থা নেওয়ার নাটক করে। এখানে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy