পুলিশের সামনেই ৬ জনকে কুপিয়ে জখম, আতঙ্কে কাঁপছে গোটা পাড়া

বাংলাদেশের গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রবাসীর দুই মেয়ে, স্ত্রী, মা, ভাইসহ ছয়জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার জাঙ্গালীয়া মোল্লাবাড়ি আলিমের টেকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের দাবি, দুই পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে হামলা করে প্রতিপক্ষ।

এদিকে আহত ভাইকে হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগ থেকে অপহরণ করে প্রতিপক্ষ। পরে ৯৯৯ এ ফোন করা হলে অপহৃতকে উদ্ধার করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। এ বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে প্রবাসীর ভাই এবং আহত বাদল মোল্লা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই গ্রামের আলাউদ্দিন দর্জির সঙ্গে তাদের বিরোধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে কালীগঞ্জ থানার এসআই মিন্টু মিয়া ও ইসলাম মিয়া তাদের বাড়িতে আসেন। এ সময় তাদের সঙ্গে এলাকার ‘সন্ত্রাসী’ কাইয়ুম মোল্লাসহ ১০-১২ জন ছিলেন। তাঁরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে জোরপূবর্ক বাড়িতে ঢুকে তার ভাইয়ের কলেজপড়ুয়া মেয়ে মাসুমা আক্তার, শিফা আক্তার ও স্কুলপড়ুয়া মুন্নি আক্তার, স্ত্রী কামরুন্নাহার, মা ফরিদা বেগমকে শ্লীলতাহানি ও কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে বাড়িতে গেলে তাকেও লাঠিপেটা করা হয়। বাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ বাদল মিয়ার।

স্থানীয়রা মাসুমা আক্তার, তার মা কামরুন্নাহার ও বাদল মোল্লাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থেকে বাদল ও সঙ্গে থাকা স্বজন কামরুল মোল্লাকে অপহরণ করে একদল যুবক। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে গাজীপুর মেট্রো পলিটন পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। মাসুমা ও তার মা গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযুক্ত এসআই ইসলাম মিয়া ও মিন্টু মিয়া বলেন, আলাউদ্দিন দর্জি ও তার ছেলে তাদের জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ দিলে তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারা জানতে পেরে উভয় পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে জানতে ওসি মো. আনিসুর রহমানের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy