“পুরুষাঙ্গটা আমি কুপিয়ে দিই”- জেনেনিন ঠিক কীভাবে হজরতের দেহ খণ্ড করা হয় সেই রাতে?

জলিল, যাকে সম্প্রতি জম্মু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, হজরতের মুণ্ড কাটার ঘটনায় এক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ অফিসারদের সামনে ঘটনাটি পুনর্নির্মাণের সময় জলিল তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কিত এক গোপন কাহিনী প্রকাশ করেন, যা খুনের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জলিল জানালেন, নিহত হজরতের সঙ্গে তার স্ত্রীর, সুফিয়ার একটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। যদিও প্রথমদিকে জলিল তা মেনে নিয়েছিলেন, পরে হজরতের অস্বাভাবিক যৌন চাহিদার কারণে সম্পর্কটি আরও জটিল হয়ে ওঠে। জলিলের অভিযোগ, হজরত সুফিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে নাকি ঔষধ ব্যবহার করতেন, যা সুফিয়া কখনও পছন্দ করেননি। সুফিয়া তার স্বামী জলিলকে এ ব্যাপারে জানালে, জলিল হজরতের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন, তবে হজরত তাতে কর্ণপাত করেননি।

এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে জলিল বিস্তারিত জানালেন, কীভাবে খুনটি সংঘটিত হয়েছিল। জলিল জানান, তিনি এবং সুফিয়া হজরতকে ঘিরে পরিকল্পনা করেছিলেন। ঘটনার দিন, সুফিয়া প্রথমে হেঁটে আসছিলেন, তার পিছনে ছিল হজরত, এবং তারপর ছিল জলিল। জলিল হাতে একটি দাঁ (লাঠি) এবং সুফিয়া হাতে একটি হাতুড়ি নিয়ে হজরতকে আক্রমণ করেন। জলিল বলেন, “ওকে যখন মারতে শুরু করি, সে কাঁত হয়ে পড়ে যায়। তারপর আরও মারতে থাকি। এক পর্যায়ে তার মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।” জলিল দাবি করেন, হজরত তাকে বহুদিন ধরে বিরক্ত করেছিল, তাই তার প্রতি ছিল ব্যাপক রাগ।

এরপর এক কোপেই বডি থেকে মাথাটা আলাদা হয়ে যায়। ওর ওটার ওপর অনেক রাগ স্যর। অনেক জ্বালিয়েছে আমাকে। তারপর পুরুষাঙ্গটা আমি কুপিয়ে দিই।”

জলিল জানান, খুনের পর সুফিয়া হজরতের মোবাইলের সিমটি খুলে ফেলেন এবং তা মাটিতে পুঁতে দেন, এবং হাতুড়িটি জঙ্গলে ফেলে দেন। পুলিশ কেবিসহ এই সমস্ত স্থানে উপস্থিত হয়ে সমস্ত আলামত খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেছে।

এই ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের তদন্ত চলছেই, এবং এটি একেবারে নতুন মাত্রা পেতে চলেছে। তদন্তকারীরা আরও বিস্তারিত জানার জন্য জলিল ও সুফিয়াকে জেরা করতে থাকবে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy