পাস্তা সিদ্ধ জল ফেলে দিবেন না! জেনেনিন এর কিছু বিশেষ তথ্য

খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই জল ফেলেও দেয়া হয়। অথচ ঝড়িয়ে ফেলা এই জলটুকুই রেখে দেওয়া প্রয়োজন খাবারের স্বাদ বর্ধনের স্বার্থেই। নিতান্ত অবহেলায় ফেলে দেওয়া এই জলই রন্ধনশিল্পে দারুণ সমাদৃত। ক্ষেত্র বিশেষে এই জিনিসকে রান্নায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ মূলধনও বলা হয়ে থাকে। বড় ও নামী রন্ধনশিল্পীদের কাছে এই জল ‘লিকুইড গোল্ড’ নামে পরিচিত।

কেন এই জল এতো জনপ্রিয়?
পাস্তা তৈরি করা হয় খুব ভালো মানের ময়দা থেকে। তাইতো রান্নার জন্য গরম জলে সিদ্ধ করা হলে সেটা থেকে শর্করা নিঃসৃত হয়। যে কারণে পাস্তা ভালোভাবে সিদ্ধ হবার পর বাড়তি জল ঘোলাটে বর্ণ ধারণ করে।
অনেকেই এই ঘোলাটে জলকে পাস্তার ময়লা হিসেবে ভেবে থাকেন। যা কিনা একেবারেই ভুল ধারণা। জলর সাথে শর্করা ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান মিশ্রিত হয়েই এমন ঘোলাটে বর্ণ ধারণ করে। যাকে বলা হয়ে থাকে লিকুইড গোল্ড।

আরো পড়ুন: ইটালিয়ান স্বাদে শ্রিম্প আলফ্রেডো পাস্তা
পাস্তা তৈরিতে প্রধান ও মূল উপাদান হলো পাস্তার সস। সস যত বেশী স্বাদু ও পারফেক্ট হবে, পাস্তা তত বেশি মুখরোচক হবে। পাস্তার সস তৈরিতে সাধারণত জল ও দুধ ব্যবহার করা হয়। সাথে মাখন ও রান্নার তেলও থাকে।
পাস্তার সস তৈরিতে সাধারণ জলর বদলে পাস্তা সিদ্ধর জল যদি ব্যবহার করা হয় তবে অন্যান্য সকল উপাদানের সাথে খুব সহজেই মিশ্রিত হয়ে যায়। পাশাপাশি স্বাদও বেড়ে যায় বহুগুণ। প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন পাস্তার ভিন্ন ফ্লেভার থাকে। পাস্তা সিদ্ধর জল ব্যবহার করে সস তৈরি করলে পাস্তার প্রকৃত ফ্লেভার পাওয়া যায়।

একইসাথে পাস্তার খাদ্য গুণাবলীও পাস্তা সিদ্ধর জলে মিশ্রিত হয়ে যায়। যা পুনরায় ব্যবহারে ফিরে পাওয়া সম্ভব হয়।

সত্যিই কি পাস্তা সিদ্ধর জল সসের স্বাদ বাড়ায়?
বিখ্যাত একজন রন্ধনশিল্পী পাস্তা সিদ্ধর জল পাস্তার সস তৈরিতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সন্দিহান ছিলেন। তার বিশ্বাস ছিল সাধারণ জল ও সিদ্ধ জল ব্যবহারের মাঝে কোন তফাৎ নেই। পরীক্ষামূলক ভাবে তিনি দুইটি আলাদা পাত্রে সাধারণ জল ও পাস্তা সিদ্ধর জল দিয়ে পাস্তার সস তৈরি করে পাস্তা রান্না করেন। আন্দাজ করুন তো ফলাফল কী হয়েছিল! পাস্তা সিদ্ধর জলে তৈরি পাস্তার সস স্বাদের দিক থেকে অনেক বেশি মুখরোচক সেটা মানতে বাধ্য হন তিনি।
তাইতো এরপর থেকে যখনই পাস্তা তৈরির প্রস্তুতি নিবেন, অবশ্যই খেয়াল রাখবেন পাস্তা সিদ্ধর জল যেন ফেলে না দেওয়া হয়।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy