পরিবারের জন্য কী কী রেখে গেলেন কেকে? জেনেনিন একনজরে

মার্কেটিংয়ের চাকরি ছেড়ে গায়ক হওয়ার স্বপ্ন ছিল কৃষ্ণকুমার কুন্নথের। স্বপ্নপূরণও হল, তবে পথটা সহজ ছিল না। প্রথমে বিজ্ঞাপনে, তারপর ধারাবাহিকে এবং তার অনেক পরে বলিউড সিনেমা। কেকেরঝুলিতে একের পর এক সুপারহিট গান।

কেকের প্রথম অ্যালবাম ‘পল’ বেশ জনপ্রিয় হয়। ‘ইয়ারো দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়’ গান এখনো তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠে শোনা যায়। সিনেমার গানে কেকে-র সফর শুরু হয় এ আর রহমানের সংগীত পরিচালনায়। তবে বলিউডে তার বড় ব্রেক ছিল ‘হাম দিল দে চুকে সানম’। তার কণ্ঠে তুমুল জনপ্রিয় ‘তড়প তড়প কে’ গান। তারপর থেকে একের পর এক ‘হামরাজ’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘দশ’, ‘জান্নত’, ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’র মতো সিনেমায় গান গেয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন। শুধু হিন্দি নয়, তামিল, তেলুগু, মারাঠি, কন্নড় এবং বাংলা ভাষাতেও গান গেয়েছেন কেকে।

সেই কেকের সম্পত্তি কম নয়। এক ইংরেজি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মার্কিন ডলারে কেকের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ডলার! খবর অনুযায়ী, প্রতি গানে কেকে পারিশ্রমিক হিসেবে নিতেন ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে, লাইভ কনসার্টের জন্য তিনি পারিশ্রমিক নিতেন ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা।

মুম্বাইয়ের ভরসোভায় চোখ ধাঁধানো বাড়ি রয়েছে কেকের। দামী গাড়ি চড়তে খুবই পছন্দ করতেন কেকে। তার ছিল চারটি বিলাসবহু গাড়ি। কেকে ব্যবহার করতেন, অডি আরএস৫, জিপ চেরোকে, মার্সেটিজ। মাঝে মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় গাড়ির ছবিও পোস্ট করতেন কেকে।

মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে একটি কলেজের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে গান গাইতেই এসেছিলেন কেকে। অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন শিল্পী। তারপর শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে ফিরে যান। সেখানেই অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে শিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy