![](https://techinformetix.in/wp-content/uploads/2022/06/badha-kopi-1024x538.jpg)
বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে লেটুস ক্ষেত। পাওয়া যাচ্ছে না লেটুস। আন্তর্জাতিক ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি তাই সেখানে বার্গার ও শর্মার মত খাবারে লেটুসের পরিবর্তে বাঁধাকপির পাতা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।
কেএফসি-র পক্ষ থেকে ভোক্তাদের বলে দেওয়া হচ্ছে, তারা লেটুস ও বাঁধাকপি মিলিয়ে খাবারে ব্যবহার করছে। শুধু লেটুস নয় বরং অস্ট্রেলিয়ায় তাজা ফল ও সবজির সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে দাম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে দোকানে বিক্রির জন্য রাখা লেটুসের ছবি পোস্ট করছেন। সেখানে দাম ১০ অস্ট্রেলীয় ডলার (৭.১৮ ডলার, ৫.৭২ পাউন্ড)। এই দাম স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি।
কেএফসি অস্ট্রেলিয়ার ওয়েব সাইটে বলা হয়, ‘‘নিউ সাউথ ওয়েলস এবং কুইন্সল্যান্ডে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে বর্তমানে আমরা লেটুসের সংকটে রয়েছি। তাই পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত যেসব খাবারে লেটুস ব্যবহার করার কথা সেগুলোতে আমরা লেটুস ও বাঁধাকপির মিশ্রন ব্যবহার করছি।
‘‘যদি আপনার সেটি পছন্দ না হয় তবে আপনার পণ্য অর্ডারের সময় ‘কাস্টোমাইজ’ এ ক্লিক করুন এবং রেসিপি থেকে লেটুস সরিয়ে দিন।”
এ বছর কেএফসি অস্ট্রেলিয়ার কাঁচামাল সংকটে পড়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে জানুয়ারিতে কোম্পানিটি তাদের খাবারের মূল উপাদান মুরগির সংকটে পড়েছিল। যে কারণে তাদের মেন্যুতে পর্যন্ত পরিবর্তন আনতে হয়েছিল।
শুধু কেএফসি নয় বরং বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফাস্ট ফুড কোম্পানি ম্যাকডোনাল্ডসও সম্প্রতি তাদের এশিয়ার আউটলেটগুলোতে চিপস এর সংকটে পড়েছে। এমনকী জাপান ও সিঙ্গাপুরের আউটলেটগুলোতেও একই অবস্থা। বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্য সরবরাহে সংকট এর জন্য দায়ী।
কোভিড-১৯ মহামারী এবং ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত অস্ট্রেলিয়ায় খাদ্যপণ্য সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব খাদ্য উৎপাদনও ব্যাহত হয়েছে। বিশেষ করে বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলজুড়ে হওয়া বন্যার কারণে অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে।
যার ফলে দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে গেছে। এবছর প্রথম তিন মাসে দেশটিতে ভোক্তাপণ্যের দাম ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে গেছে। গত ২০ বছরের মধ্যে দেশটিতে এটাই সর্বোচ্চ মূল্যস্ফ্রীতি। যা সামনে আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।